রাজধানীতে তিন ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু

রাজধানীতে তিন ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। একজন বাস থেকে নামতে গিয়ে, একজন পারিবারিক কলহের জের ধরে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে এবং একজন শ্রমিক নির্মাণাধীন ভবনে লিফটের চাপায় মারা গেছেন। তিন ব্যক্তির লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বারডেম (২) হাসপাতালের সামনে বাস থেকে নামতে গিয়ে আ. মতিন (৫৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। আজ শনিবার বিকেলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

উদ্ধারকারী বাসযাত্রী মোয়াজ্জেম জানান, সেগুনবাগিচা বারডেম হাসপাতালের সামনে গুলিস্তানগামী একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল চারটায় মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বাসটিকে স্থানীয় লোকজন আটক করেছে বলে তিনি জানান। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। মতিনের বাড়ি বাড্ডায়। তাঁর স্ত্রী জহুরা বেগম। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
রাজধানীর মালিবাগে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে লিফটে চাপায় সৌরভ (১৮) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
উদ্ধারকারী ওই ভবনের সুপারভাইজার আবদুল কাদের জানান, মালিবাগ শাহি মসজিদের পাশে নির্মাণাধীন কাজী নিবাস নামের নয়তলা ভবনের পঞ্চম তলায় লিফটে চাপা পড়েন ইলেকট্রিক মিস্ত্রির সহকারী সৌরভ। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা তিনটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে, তাঁর বাবার নাম মো. হেলাল উদ্দিন। সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে দাম্পত্য কলহের জের ধরে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে সোহরাব হোসেন (৩৬) নামের এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
মৃত সোহরাবের স্ত্রী সাবিনা জানান, পারিবারিক কলহের কারণে শুক্রবার রাতে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং রাগ করে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করেন। পরে জানতে পেরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা সোয়া তিনটায় মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানার শিমুলিয়া পাড়া গ্রামে। তিনি দুই ছেলের জনক ছিলেন।