৯ মাসের মধ্যে ডেসটিনির মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ

ডেসটিনি
ডেসটিনি

অর্থ পাচারের অভিযোগে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রফিকুল আমিনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা মামলা নিষ্পত্তিতে সময় বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী বছরের ১৮ এপ্রিলের মধ্যে ওই মামলা নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।

মামলা নিষ্পত্তিতে সময় বাড়াতে এক আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ড. কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট এক আদেশে অর্থ পাচারের ওই মামলাটি এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে মামলার বিচার ইতিমধ্যে শেষ না হওয়ায় গত ২৪ জুন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক (বিশেষ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবরে একটি আবেদন পাঠান। এতে এক বছরের সময় চাওয়া হয়। এ অবস্থায় হাইকোর্ট সময় বেঁধে দিয়ে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্ট বিচারককে নির্দেশ দিয়েছেন।

‘বিশেষ মামলা নম্বর ১৭/২০১৬ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সময় বর্ধিতকরণ প্রসঙ্গে’ শীর্ষক ওই আবেদনের ভাষ্য, মামলাটিতে ইতিমধ্যে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠিত (অভিযোগ গঠন) হয়েছে এবং মোট তিনজনে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার অভিযোগপত্রে মোট ২১৯ জন সাক্ষীর নাম রয়েছে। ফলে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামলাটি চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তির জন্য আরও কমপক্ষে এক বছর সময় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

আইনজীবী সূত্র বলেছে, ওই আবেদনের বিষয়টি রেজিস্ট্রার জেনারেল প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন। পরে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এই বেঞ্চে পাঠান। আদালত শুনানি নিয়ে ওই সময়সীমা বেঁধে দেন।

আইনজীবী সূত্র বলেছে, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনির ২৩ কর্তাব্যক্তির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। ২২ মাস পর ২০১৪ সালের ৪ মে দাখিল করা অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় ৫৩ জনকে। ৪ হাজার ১১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং এর মধ্যে ৯৬ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে।