মিয়ানমার সংলাপে আছে, তবে কাজ করছে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রবার্ট এফ কেনেডি হিউমান রাইটস অ্যাডভোকেসি অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি। ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রবার্ট এফ কেনেডি হিউমান রাইটস অ্যাডভোকেসি অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি। ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাঁর সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে, তবে দেশটি এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই সংকটের সমাধান চাই বলে মিয়ানমারের সঙ্গে সংলাপ চালাচ্ছি, কিন্তু মিয়ানমার সবকিছুতে রাজি থাকলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা কোনো কিছুই করছে না।’

গতকাল রোববার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে রবার্ট এফ কেনেডি হিউমান রাইটস অ্যাডভোকেসি অর্গানাইজেশনের সফররত প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, তাঁরা মূলত রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েই আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বিরাট বোঝা। সাধারণ মানুষ চাষাবাদের জমি, গাছপালা, বনভূমি হারিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হলেও তারা স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনগণও এমন দুর্ভোগের মুখোমুখি হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে এবং তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে আরও ভালো অবস্থায় বসবাস করতে পারে, এ জন্য সরকার নতুন জায়গার ব্যবস্থা করছে।

কেরি কেনেডি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, রোহিঙ্গা জনগণের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করাই হচ্ছে তাঁর বাংলাদেশ সফরের উদ্দেশ্য।

কেরি বলেন, তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যও পরিদর্শন করেছেন, কিন্তু সেখানে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে কোনো অবকাঠামো বা কোনো আশ্রয়ের ব্যবস্থা দেখেননি। তিনি বলেন, মিয়ানমার প্রত্যাবর্তনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কেরি কেনেডি মনে করেন, তাদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং তাদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাজ করা উচিত।

কেরি কেনেডি বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী (এসএসএন) কর্মসূচি ও নারীর ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, এসব উদ্যোগ ব্যতিক্রমধর্মী।

প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে এবং বিশিষ্ট অটিজমকর্মী সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।