ফরিদপুরে হত্যা মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সব আসামি খালাস

রায়ের পর আদালত থেকে বেরিয়ে আসছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান। জেলা জজ আদালত চত্বর, ফরিদপুর, ১৬ জুলাই। ছবি: প্রথম আলো
রায়ের পর আদালত থেকে বেরিয়ে আসছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান। জেলা জজ আদালত চত্বর, ফরিদপুর, ১৬ জুলাই। ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরে একটি হত্যা মামলায় সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামানসহ ৩০ আসামিকে নথিসহ খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেলালউদ্দিন এ আদেশ দেন।

রায় ঘোষণার সময় সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামানসহ সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, লিটন আলম (৩২) নামের এক পল্লি চিকিৎসককে হত্যা মামলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামানসহ মোট ৩৩ জন আসামি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। দুজন আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক।

নিহত লিটন আলম সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের মৃত আবদুল আলী মাতুব্বর ছেলে। ভাওয়াল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ওয়াহিদুজ্জামান বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ফরিদপুর-২ (সালথা ও নগরকান্দা) আসনের সাংসদ জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২১ মার্চ সকাল নয়টার দিকে ইউসুফদিয়া গ্রামের হাই মাতুব্বরের বাড়ির সামনে লিটনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন লিটনের ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সালথা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার সাহা ওয়াহিদুজ্জামানসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ন্যায়বিচার পেয়েছি। দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় লিটন আলম নিহত হন। কিন্তু মামলায় সে প্রসঙ্গ সন্নিবেশ না করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার মানসিকতায় আমাকে অন্যায়ভাবে যুক্ত করে হত্যা মামলা সাজানো হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী সানোয়ার হোসেন জানান, ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ রায় প্রত্যাশিত ছিল না। উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।