রহিমের পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ, রেজ্জাকুলের শুরু

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা মামলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিমের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সোমবার শেষ হয়েছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে রহিমের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তাঁর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

এরপর প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। মঙ্গলবার ও বুধবারও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, রেজ্জাকুলের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে আর দুজন আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন বাকি থাকবে। তাঁরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু।
পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে এই মামলার বিচারকাজ চলছে।
আবদুর রহিমের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, মুফতি আবদুল হান্নানের জবানবন্দির আলোকে আবদুর রহিমকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। রহিমের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষ তা অন্য কোনো সাক্ষী দিয়ে প্রমাণ করতে পারেনি।
এ পর্যায়ে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষে ২২৫ জন সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়েছে। এ ধরনের মামলায় অভিযোগ প্রমাণের জন্য যে ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা প্রয়োজন, তা করা হয়েছে। আসামিপক্ষ বারবার একই বিষয় শুনানিতে এনে বিচার বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে।
জবাবে খন্দকার মাহবুব বলেন, এ মামলার বিচারে যে সময় লাগা প্রয়োজন, তার চেয়ে দ্রুত শেষ হচ্ছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আরও সময় প্রয়োজন ছিল। তিনি উচ্চ আদালতের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের আলোকে আবদুর রহিমের খালাস দাবি করেন।
এরপর রেজ্জাকুল হায়দারের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন তাঁর আইনজীবী মোহাম্মদ আহসান। তিনি মামলার সাক্ষী ও ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন মহাপরিচালক সাদিক হাসান রুমীর সাক্ষ্যের জবানবন্দি পড়ে শোনান। তিনি বলেন, মেজর জেনারেল (অব.) সাদিক হাসান রুমী ও রেজ্জাকুল হায়দার দুজনই উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। সাদিক হাসান যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তা মিথ্যা।
বেলা আড়াইটার দিকে যুক্তিতর্ক আজ ১০টা পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আহত হন কয়েক শ নেতা-কর্মী।