বিএনপির পথসভায় ককটেল 'সাজানো নাটক': আ.লীগের লিটন

রাজশাহীতে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের নির্বাচনী পথসভায় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের সাগরপাড়া বটতলার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

আজ নগরের সাগরপাড়া বটতলার মোড়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে পথসভা করছিলেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে বিএনপির চেয়ারপারসের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান, বেসরকারি টেলিভিশন বাংলা ভিশনের রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি আদিত্য চৌধুরী ও স্বপন কর্মকার নামেে স্থানীয় এক ব্যক্তি আহত হন। আহত তিন ব্যক্তিই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে এসেছেন।

পথসভার কাছে একটি ছাউনির নিচে স্বপন কর্মকারের দোকান ছিল। বিস্ফোরণে ছাউনিটির কিছু অংশ পুড়ে গেছে। স্বপন কর্মকারের ছেলে প্রতিম কর্মকার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বাড়ি থেকে তাঁর বাবার জন্য খাবার আনছিলেন। পথসভার কাছে আসার আগেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তিনি তিনটি মোটরবাইকে মুখ বাঁধা অবস্থায় কয়েকজনকে চলে যতে দেখেন। তাঁর ধারণা, মোটরসাইকেল আরোহীরাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

বিস্ফোরণ ঘটা স্থানে কাওছার নামের এক ব্যক্তির বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে গেছে।

এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমানউল্লাহ বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আমরা এলাকায় আছি। হামলাকারীদের খুঁজে বের করা চেষ্টা চলছে।’

এ ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি এর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করি। এ ক্ষোভ জানাই।’

সকালে ককটেল বিস্ফোরণের এ ঘটনার পর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করেন। নগরের কুমারপাড়া মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের এ সংবাদ সম্মলেন লিটন বলেন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বোমা ও ককটেলবাজির মতো সহিংস কাজে সিদ্ধহস্ত। এটা একটা সাজানো নাটক।

লিটন বলেন, নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার জন্যই আজকের বিস্ফোরণের ঘটানো হয়েছে। রাজশাহীর বাগমারা ও নওগাঁর আত্রাইয়ে বাংলা ভাইকে নিয়ে সহিংস কর্মকাণ্ডে দুলুর ভূমিকা সম্পর্কে সবাই জানে।

লিটন অভিযোগ করেন, গতকাল সোমবার দুপুরে দুলু নগরের একটি হোটেলে বসে অর্থ বিতরনের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশের বাধায় তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়নি। রাতে পর্যটন মোটেলে গিয়ে তিনি লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রা্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন। এর প্রমাণ পেয়েছি আমরা। যার আলামত সকালের বিস্ফোরণ। তিনি সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন।

আওয়ামী লীগের লিটনের অভিযোগের বিষয়ে রুহুল কুদ্দুস তালকুদার দুলু প্রথম আলোকে বলেন, গাজীপুর ও খুলনার স্টাইলে রাজশাহীতে নির্বাচন করার জন্য এবং বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িছাড়া করার জন্য এ বিস্ফোরণ ঘটনো হয়েছে।