কুষ্টিয়ায় ছাত্রলীগ নেতার ঘরে পাওয়া গেল ইয়াবা ও গুলি

রাজিব আহম্মেদ। ছবিটি তাঁর ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া
রাজিব আহম্মেদ। ছবিটি তাঁর ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাজিব আহম্মেদের (২২) শোয়ার ঘর থেকে মাদক ও গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২)। এই ঘটনায় পরে দুটি মামলা দায়ের করে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

গতকাল সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর এলাকায় রাজিবের বাড়িতে এ অভিযান চালায় র‍্যাব।

মামলার বরাত দিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে খাজানগর এলাকায় রাজিবের বাড়িতে র‌্যাব অভিযান চালায়। একপর্যায়ে রাজিবের শোয়ার ঘর থেকে দুটি এয়ারগান, ৫২৮টি গুলি, একটি স্প্রিং, ১০৭টি ইয়াবা বড়ি ও শটগানের ২৩টি গুলি পাওয়া যায়। এ সময় রাজিববে আটক করে র‌্যাব ক্যাম্পে নেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ১১টায় তাঁকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব। র‌্যাবের কুষ্টিয়া ক্যাম্পের ডিএডি শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজিবকে একমাত্র আসামি করে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন।

গ্রেপ্তার হওয়ার রাজিব আহম্মেদ। ছবিটি কুষ্টিয়া মডেল থানায় তোলা। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার হওয়ার রাজিব আহম্মেদ। ছবিটি কুষ্টিয়া মডেল থানায় তোলা। ছবি: সংগৃহীত

আজ দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজিব জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তিনি মূলত সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদের সঙ্গে চলাফেলা করতেন। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে মাদকের ব্যবসা করার অভিযোগ ছিল। এবার র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন। সংগঠন বিরোধী কাজ করায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত সময়ে কেন্দ্র একটা সিদ্ধান্ত জানাবে।’

সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।