চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সাড়ে ছয় মাসে পুকুরে ডুবে মারা গেছে ৩১ শিশু, আহত ২০

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মধ্য জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুকুরে ডুবে ৩১ শিশু মারা গেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ২০ শিশুকে। মারা যাওয়া বেশির ভাগ শিশুর বয়স দেড় থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার সরল ইউনিয়নে ফাহিমা সুলতানা (৩) নামের এক শিশু পুকুরে ডুবে মারা গেছে।

বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের নিবন্ধন বই থেকে জানা যায়, গত সাড়ে ছয় মাসে সরল ইউনিয়নে আটজন, শীলকূপে ছয়জন, গন্ডামারায় ছয়জন, চাম্বলে চারজন, শেখেরখীলে তিনজন, পৌরসভায় দুজন ও বৈলছড়িতে দুজন শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চাম্বল ইউনিয়নের ছয়জন, গন্ডামারার তিনজন, শীলকূপের তিনজন, ছনুয়ার তিনজন, সরলের দুজন, কাথারিয়ার দুজন এবং পৌরসভার একজন শিশুকে। এদের অর্ধেক ছেলে এবং অর্ধেক মেয়েশিশু।

বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শারমিন আক্তার বলেন, পানিতে ডুবে যাওয়া বেশির ভাগ শিশু হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়। পানিতে ডুবে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আসা শিশুদের নাক-মুখ দিয়ে ফুসফুসে পানি ঢুকে যায়। এসব শিশুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।

এই সাড়ে ছয় মাসে সরল ইউনিয়নে পুকুরে ডুবে মারা যাওয়া শিশুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ ব্যাপারে সরল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশীদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘পরিবারের লোকজন অসচেতন হওয়ায় পুকুরে ডুবে শিশু মারা যায়। পুকুর বা জলাশয়ে চলাচলের পথে বাঁশ বা লোহার তারের বেড়া দিলে এ সংখ্যা অনেক কমে যেত। কয়েক দিন আগেও আমার এলাকায় পুকুরে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমেনা আক্তার বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ব্যাপারে সচেতন করতে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সচেতনতামূলক পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।