খালেদা জিয়ার চিকিৎসার চেয়ে বিএনপির কাছে ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন সর্বশেষ কোটা সংস্কার আন্দোলনের পিঠে সওয়ার হয়েছে। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এবার ছাত্রসমাজকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখছে, যা কখনোই পূরণ হবে না।

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় মেঘনা সেতুর নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে এক সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নোংরা রাজনীতি করে, সেটি এর মধ্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি কয়েক দিন আগে যে অবস্থা সৃষ্টি করেছিল, সেটি তাদের নোংরা রাজনীতির প্রমাণ দিয়েছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিএনপির কাছে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজনীতির ইস্যু খুঁজে বের করাটা বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করা এবং ঈদুল আজহার সময় সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমানো এবারের অগ্রাধিকার। এ লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তদারকি ঈদের পরেও জোরদার থাকবে। তিনি বলেন, এ ছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়িতে কোরবানির পশু পরিবহন করা যাবে না। এসব পরিবহন উৎসমুখে বন্ধ করতে হবে। উল্টো পথে গাড়ি চালানো, ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধে আরও কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে নজরদারি বাড়াতে হাইওয়ে পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঈদ-পরবর্তী সময়ে মহাসড়কে পরিবহন ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ঈদের আগে তিন দিন মহাসড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি ঈদের আগের চার দিন ও পরের চার দিন সারা দেশে সিএনজি স্টেশনগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।

সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান, বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম, ঢাকা ও পাশের জেলাগুলোর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর প্রতিনিধি, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকনেতাসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।