কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট

কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপনির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট রিট আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে কাল বৃহস্পতিবার এই রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।

গত ১১ মে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম মাইদুল ইসলামের মৃত্যুতে ওই আসনটি শূন্য হয়।

ঘোষিত তফসিল অনুসারে কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর উপজেলা একটি ও চিলমারীর ২টি ইউনিয়ন বাদে) আসনে ২৫ জুলাই উপনির্বাচন হওয়ার কথা। এ অবস্থায় ১০ জুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের বাসিন্দা এস এম মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে আজ বুধবার আইনজীবী শেখ জাহাঙ্গীর আলম রিটটি দায়ের করেন। রিটে ওই উপনির্বাচনের তফসিলের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

পরে শেখ জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ৩০ এপ্রিল সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করে ইসি। এতে চিলমারী উপজেলার চারটি ইউনিয়ন কুড়িগ্রাম-৪ আসনে অন্তর্ভুক্ত হবে। চার ইউনিয়ন হলো চিলমারী, রমনা, রাণীগঞ্জ ও থানাহাট। চারটি ইউনিয়ন আগে কুড়িগ্রাম-৩ আসনে অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপর ওই উপনির্বাচনের জন্য ১০ জুন ঘোষিত তফসিলে বর্তমানে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে অন্তর্ভুক্ত ওই চার ইউনিয়নের বাসিন্দাদের কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এটি সর্বশেষ সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত ইসির গেজেটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়।

রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, রিটে নির্বাচন কমিশনের ৩০ এপ্রিলের সীমানা সংক্রান্ত গেজেট কেন অনুসরণ করা হবে না এবং উপনির্বাচনের জন্য ঘোষিত তফসিল কেন আইনবহির্ভূত ঘোষণা হবে না এ মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় নির্বাচনের তফসিলের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, কুড়িগ্রাম-৩ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হলেও এই উপনির্বাচন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী সীমানা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। পূর্ববর্তী সীমানা অনুযায়ী কুড়িগ্রাম-৩ আসনের বর্তমান ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮১১।