কোটা সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে: হাছান

হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি
হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপি এত দিন পেছন থেকে সমর্থন দিলেও, এবার প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে সেই কথা সত্য প্রমাণ করেছে। এটা কোটাবিরোধী আন্দোলন নয়, এটা প্রকৃতপক্ষে সরকারবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলন।

ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রচার কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ প্রথম থেকেই বলছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। বিএনপি এত দিন পেছন থেকে সমর্থন দিলেও এখন প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে এই আন্দোলন সরকারবিরোধী আন্দোলন।

সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যত দিন ক্ষমতায় ছিল, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সব সময় ব্যারিকেড থাকত। এখন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সব সময় ব্যারিকেড থাকে না। বিএনপি নেতারা নয়াপল্টনের কার্যালয়ে বসে সকাল-বিকেল সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার করেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের ওপর যত হামলা চালিয়েছে, বিএনপির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। বিএনপির নেতারা যেসব বক্তব্য দেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিএনপি নেতাদের ‘আয়নায়’ নিজেদের চেহারা দেখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির রুহুল কবির রিজভী সুবিন্যস্ত ‘অশোভন’ ভাষায় বক্তব্য দেন। তিনি যেভাবে ‘বিষোদ্‌গার’ করেন, তা রাজনৈতিক শালীনতা ও ভব্যতার সীমা অতিক্রম করে। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র আছে বিধায় বিএনপি প্রতিদিন তাদের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এবং প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করতে পারে। বিএনপি এসব সংবাদ সম্মেলনে অগণতান্ত্রিক এবং অশোভন ভাষায় সরকার ও সরকারের নেতাদের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে প্রথম শ্রেণির কয়েদির চেয়েও অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। সার্বক্ষণিক একজন সেবিকা ও একজন চিকিৎসকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন এবং আলাদা রান্নাঘরও আছে। তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী ফাতেমাও আছেন। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে যখন গ্রেপ্তার করা হন, তখন তাঁকে যেভাবে রাখা হয়েছিল—খালেদা জিয়া সে তুলনায় বেশি সুবিধা পাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আবদুল্লাহ, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।