৯০ কর্মদিবস বাড়ল কোটা পর্যালোচনা কমিটির মেয়াদ

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সরকার গঠিত কমিটির মেয়াদ ৯০ কর্মদিবস বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

২ জুলাই এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তখন এই কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সময় দেওয়া হয়েছিল। এরপর কমিটি ৮ জুলাই একটি সভা করে দেশে-বিদেশের কোটা-সংক্রান্ত তথ্য ও প্রতিবেদন সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এসব তথ্য-প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী সভা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা। কিন্তু দ্বিতীয় সভার আগেই একসঙ্গে দীর্ঘ সময় বাড়ানো হলো। 

বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হয় অগ্রাধিকার কোটায়। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধা কোটায়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতেও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কোটা। সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান এই কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। গত ৮ এপ্রিল শাহবাগ এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এতে আন্দোলন সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।
কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আবার নতুন করে মাঠে নামেন। গত কিছুদিনে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালালে বিষয়টি আবার জোরেশোরে আলোচনায় আসে। এ অবস্থায় ২ জুলাই পর্যালোচনা কমিটি গঠিত হয়। তবে কমিটি গঠনের সময়ই কমিটির সদস্যরা আশঙ্কা করেছিলেন, ১৫ কর্মদিবসে মধ্যে কাজ শেষ করে প্রতিবেদন দেওয়া কঠিন হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বাধীন এই কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মাদ শহিদুল হক, অর্থ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, জনপ্রশাসনসচিব ফয়েজ আহম্মদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব অপরূপ চৌধুরী, সরকারি কর্মকমিশনের সচিব আকতারী মমতাজ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান।