প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা: এড়িয়ে চলবেন যেসব সড়ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, কলকাতা থেকে ডি-লিট উপাধি পাওয়াসহ নানা সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজ শনিবার গণসংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এ সমাবেশ উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের এলাকা থেকে পরিবহনযোগে ও হেঁটে অসংখ্য নেতা-কর্মী, বিশিষ্ট ব্যক্তি, পেশাজীবী ও সাধারণ জনগণ ওই স্থানে যাবেন। এই সমাবেশে উপলক্ষে ব্যাপক শোডাউন করবে আওয়ামী লীগ। দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই গণসংবর্ধনা হবে ঐতিহাসিক, যার প্রকাশ ঘটবে শনিবার।

দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে এ সময়ে এই অর্জন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য অর্জিত হয়েছে। এটা তো অভূতপূর্ব সাফল্য। সে কারণে এ সংবর্ধনা। কৃতজ্ঞ জাতির পক্ষ থেকে আমরা স্বাধীনতাসংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী জাতির জনকের কন্যাকে সংবর্ধনা দিচ্ছি। আর লোকসমাগমের বিষয়টা আপনাদের ক্যামেরাই বলে দেবে।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, এই গণসংবর্ধনা উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারদিকের রাস্তায় সকাল থেকেই যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

এর আগে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, আজ বেলা একটা থেকে অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন, টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর রাস্তা বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে বাংলামোটর, কাকরাইল চার্চ, ইউবিএল, জিরো পয়েন্ট, গোলাপ শাহ মাজার, চানখাঁরপুল, বকশীবাজার, পলাশী, নীলক্ষেত, কাঁটাবন ক্রসিং দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়মুখী সাধারণ গাড়িগুলোকে ডাইভারশন দেওয়া হতে পারে।

ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনুষ্ঠান উপলক্ষে মিরপুর থেকে আসা দলীয় নেতা-কর্মী বাসে এলে গাড়ি মিরপুর রোড দিয়ে এসে নীলক্ষেত এলাকায় পার্ক করবেন। উত্তরা, মহাখালীর দিক দিয়ে যেসব নেতা-কর্মী বাসে আসবেন, তাঁরা গাড়ি মগবাজার-কাকরাইল চার্চ-নাইটিঙ্গেল-ইউবিএল-জিরো পয়েন্ট-হাইকোর্ট হয়ে দোয়েল চত্বরে নামিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেশিয়ামে পার্ক করবেন। ফার্মগেট-সোনারগাঁও-শাহবাগ হয়ে যেসব নেতা-কর্মী বাসে আসবেন, সেসব গাড়ি টিএসসি রাইট টার্ন করে মল চত্বরে পার্ক করবেন। যাত্রাবাড়ী, ওয়ারী, বংশাল দিয়ে যাঁরা আসবেন, তাঁরা গাড়ি জিরো পয়েন্ট, হাইকোর্ট হয়ে দোয়েল চত্বরে নামিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেশিয়ামে পার্ক করবেন। লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর থেকে আগত নেতা-কর্মীদের গাড়ি পলাশী-নীলক্ষেত এলাকায় পার্ক করবেন।

ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বেলা তিনটায় গণসংবর্ধনা শুরু হলেও সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কগুলোয় ডাইভারশন দেওয়া হবে। প্রথমে রূপসী বাংলা মোড় থেকে বাঁ দিকে সাধারণ যানবাহনগুলোকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। পরে বাংলামোটর মোড় থেকে বাঁ দিকে মগবাজারের দিকে চলে যাবে গাড়িগুলো। ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের ধারণা, সকাল ১০টা থেকে মিছিলগুলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানমুখী হতে থাকবে। বেলা দুইটার পর প্রধানমন্ত্রী সংবর্ধনাস্থলে যাওয়ার পর নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। এ জন্য মতিঝিল বা গুলিস্তান থেকে আসা সাধারণ যানবাহনগুলোকে প্রেসক্লাব হয়ে মৎসভবনের দিকে যেতে দেওয়া হবে না। বিকল্প হিসেবে ফকিরাপুল হয়ে মগবাজার উড়াল সড়কের দিকে পাঠানো হবে। একইভাবে মোহাম্মদপুর থেকে আসা যানবাহনগুলোকে শাহবাগ দিয়ে বাঁ দিকে ঘুরিয়ে রূপসী বাংলার সড়কে যেতে দেওয়া হবে।

ট্রাফিক বিভাগের শাহবাগ অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার শাহেদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাধারণ জনগণকে বিকল্প সড়কগুলো ব্যবহার করতে বলব। সড়কগুলো সচল রাখার সর্বাত্মক চেষ্টার করব। তা ছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় শনিবার সমস্যা হবে না।’

গণসংবর্ধনায় আসা ট্রাক ও বড় যানবাহনগুলোকে নির্দিষ্ট পথে ব্যবহার করতে হবে বলে জানা ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের (পশ্চিম) উপকমিশনার লিটন কুমার সাহা। সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে আসা মিরপুর বা সাভারের যানবাহনগুলোকে টেকনিক্যাল দিয়ে রাসেল স্কয়ার হয়ে নিউমার্কেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে যেতে দেওয়া হবে। ফেরার পথে সমস্যা হবে না। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা যাবে বলে আশা করেন তিনি।