দেশেও ব্যথামুক্ত স্বাভাবিক প্রসবসেবা

ব্যথামুক্ত স্বাভাবিক প্রসবসেবা নারীর অধিকার রক্ষারই উদ্যোগ। এই উদ্যোগের বিস্তার হলে দেশে অস্ত্রোপচারে শিশু প্রসবের প্রবণতা কমবে। এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বাড়াতে সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যমের ভূমিকা অনেক বড়।

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বেসরকারি ইমপালস হাসপাতালে আজ রোববার ‘ব্যথামুক্ত সন্তান প্রসব’ শীর্ষক সেমিনারে শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নারীনেত্রীরা এ কথা বলেন। ইমপালস হাসপাতাল ব্যথামুক্ত প্রসবসেবা চালু করেছে। আজ দুপুরে এই সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, প্রকৃতি সুবিবেচক। প্রকৃতি থেকে যা হয় তা সুন্দর হয়। প্রসবের সময় মায়েরা কষ্ট পান, তার কারণ সম্ভবত এই, কোনো কিছুকে গভীরভাবে পেতে হলে বেদনা দিয়ে পেতে হয়।

অনুষ্ঠানে ইমপালস হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ফারহানা আহমেদ ও প্রতিষ্ঠানের অ্যানেসথেসিওলজি ও পেইন মেডিসিন বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক মাহমুদুর রহমান ব্যথামুক্ত প্রসব পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেন। পদ্ধতিকে ‘ইপিডুরাল’ বলা হয়। প্রসবের আগে প্রসূতির শরীরে বিশেষ ব্যবস্থায় বেদনানাশক দেওয়া হয়। বেদনানাশকের প্রভাবে প্রসূতি প্রসবের সময় কোনো ব্যথা অনুভব করেন না। এতে শুধু ব্যথা কম থাকবে কিন্তু শরীর অবশ হবে না। প্রসূতি প্রয়োজনে হাঁটাহাঁটি করতে পারবেন এবং স্বাভাবিক প্রসব প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। প্রসবের পরপরই নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোতেও সমস্যা হয় না।

এক প্রশ্নের উত্তরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যথামুক্ত প্রসবসেবার জন্য হাসপাতালে একটি প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী দল আছে। একটি প্রসবে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়।
অনুষ্ঠানে নারী প্রগতি সংঘের সাধারণ সম্পাদক রোকেয়া কবির, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক জহির আল আমিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দবির আহমেদ, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়াজ টি পারভিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।