নতুন মা-বাবা পেল স্বাধীন

মৌসুমী আক্তারের কোলে স্বাধীনকে তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল, ১৬ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো
মৌসুমী আক্তারের কোলে স্বাধীনকে তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল, ১৬ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে জন্ম নেওয়া মানসিক প্রতিবন্ধী মায়ের নবজাতক স্বাধীন নতুন বাবা-মা পেয়েছে। এক নিঃসন্তান দিনমজুর দম্পতির কোলে তুলে দেওয়া হয়েছে স্বাধীনকে। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন নবজাতক হস্তান্তর করেন।

সাত দিন বয়সী এই নবজাতকের অভিভাবকত্ব পাওয়া দম্পতি হলেন, মমিনুল ইসলাম (৩৫) ও মৌসুমি আক্তার (৩০)। ১০ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাঁদের কোনো সন্তান হয়নি। পাশাপাশি নবজাতকের মা মানসিক ভারসাম্যহীন নাসিমা বেগমের দায়িত্ব নেন মৌসুমি আক্তারের বাবা রিকশাচালক সৈয়দ আলী।

স্বাধীনকে কোলে পেয়ে মৌসুমি আক্তার বলেন, ‘আল্লাহ আপনাদের ভালো করুন। একটা বাচ্চার জন্য কত চিকিৎসা করছি। স্বাধীন আমার নতুন জীবন দিল।’ স্বাধীনকে তার নতুন বাবা মায়ের হাতে তুলে দেওয়ার সময় এক শ ডলারের একটি নোট তুলে দেন জেলা প্রশাসক।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন এস এম আমিনুল ইসলাম, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এটিএম আনোয়ারুল হক প্রামানিক, ফুলবাড়ী উপজেলার ইউএনও দেবেন্দ্র নাথ ঊরাঁও, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ।

গত ৯ আগস্ট কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে মানসিক ভারসাম্যহীন নাসিমা বেগমের এই নবজাতকের জন্ম দেন। এরপর জেলা প্রশাসক আদর করে তার নাম রাখেন ‘স্বাধীন’।

জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন বলেন, ‘একজন মা হিসেবেই আমি স্বাধীনের দায়িত্ব নিয়েছি। নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নিঃসন্তান এই দম্পতির কাছে নবজাতককে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমি যে প্রান্তেই থাকি স্বাধীনের খোঁজখবর নেব। ইতিমধ্যে একজন ব্যক্তি স্বাধীনের খবর পেয়ে একটি অটোরিকশা দিয়েছে। যা দু’একদিনের মধ্যেই এই পরিবারের হাতে তুলে দেব। ’