বাইরে তালা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজধানীর বেইলি রোড থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই শিক্ষার্থীর নাম ফাইজা রহমান অনন্যা (২৪)। তাঁর চাচা আবুল মনসুর জানিয়েছেন, তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএর ছাত্রী ছিলেন। বেইলি রোডের একটি ১০তলা ভবনের অষ্টম তলায় মা নুসরাত জাহান ও ছোট বোনের সঙ্গে অনন্যা থাকতেন। তাঁর বাবা মাসুদুর রহমান পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন।

অনন্যার মামা রফিকুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেলে পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, শুক্রবার সকালে অনন্যাকে বাসায় রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে কাজে যান নুসরাত জাহান। এ সময় তিনি ছোট মেয়ে ফারিয়াকেও সঙ্গে নিয়ে যান। রফিকুলের ভাষ্য, বাসায় ফিরে নুসরাত জাহান অনন্যাকে বিছানায় অচেতন হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। স্বজনেরা প্রথমে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। রফিকুল আরও জানান, মাসুদুর রহমান মারা যাওয়ার পর নুসরাত জাহানই তাঁর ব্যবসা দেখাশোনা করছেন।

চাচা আবুল মনসুর জানান, সাত-আট মাস আগে মোহাম্মদপুরে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে অনন্যার পারিবারিকভাবে কাবিন হয়। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। অনন্যা ‘শ্বশুরবাড়ি’তে যাতায়াত করতেন।

রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ প্রথমে সংবাদ পেয়েছে অনন্যা আত্মহত্যা করেছেন। অনন্যার মৃত্যুর ব্যাপারে তাঁর স্বজনেরা যেসব তথ্যে দিচ্ছে, তাতে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। ফলে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি তদন্ত করেও দেখা হচ্ছে অন্য কোনো কারণ আছে কি না। অনন্যার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।