পশু জবাইয়ের ৬০২টি স্থান নির্ধারণ ডিএসসিসির

ডিএসসিসি
ডিএসসিসি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া ডিএসসিসি এলাকায় কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ৬০২টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। 

আজ রোববার নগর ভবনের সামনে কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণে নিয়ে আয়োজিত এক সভা থেকে নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা সিটি করপোরেশনের জন্য একটি বড় “চ্যালেঞ্জ”। গত বছর সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা বা বর্জ্য অপসারণ করতে ডিএসসিসি সক্ষম হয়েছে। আশা করি, এবারও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে পারব। ঈদের দিন বেলা দুইটা থেকে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হবে। বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি পানি ছিটিয়ে রক্ত ধুয়ে দেওয়া হবে।’
মেয়র বলেন, ‘অনেকেই নিজ বাসাবাড়ির সামনে পশু কোরবানি করেন। এতে রাস্তাঘাট বেশি নোংরা হয়। বর্জ্য অপসারণ করতে সময় লাগে। তাই নগরের পরিবেশ এবং নিজেদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে ডিএসসিসির নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করতে হবে। ইতিমধ্যে ডিএসসিসির প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাহলে বর্জ্য অপসারণ করা সহজ হবে।’ তিনি বলেন, এবার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ডিএসসিসির ৫ হাজার ২০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী মাঠে থাকবেন। গতবারের মতো এবারও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় দুই লাখ ব্যাগ সরবরাহ করা হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার কাউন্সিলরদের মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে এসব ব্যাগ পৌঁছে দেওয়া হবে। এ সময় তিনি বৃষ্টির পানি জমে থাকে—এমন জায়গায় পশু জবাই না করার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।