উত্তরবঙ্গগামী গাড়ি চলছে ধীরে, রাতে জটের আশঙ্কা

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উত্তরবঙ্গমুখী গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। রাতে যানজটের আশঙ্কা। বিকেল বেলা, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা, কালিয়াকৈর, গাজীপুর, ২০ আগস্ট। ছবি: মাসুদ রানা
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উত্তরবঙ্গমুখী গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। রাতে যানজটের আশঙ্কা। বিকেল বেলা, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা, কালিয়াকৈর, গাজীপুর, ২০ আগস্ট। ছবি: মাসুদ রানা

ঈদ যাত্রায় সড়কে গাড়ির ব্যাপক চাপ থাকায় ঢাকা, সাভার ও গাজীপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া উত্তরবঙ্গমুখী বিভিন্ন গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। সোমবার রাত আটটা পর্যন্ত কোথাও বড় ধরনের কোনো যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। প্রথম আলোর স্থানীয় প্রতিনিধি ও পুলিশ সূত্রে এই খবর জানা যায়। তবে আরও গভীর রাতের দিকে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সাভারে রাস্তায় ঘরমুখী মানুষ গাড়ির অপেক্ষায় রয়েছেন। সেই তুলনায় পর্যাপ্ত গাড়ি নেই। ফলে যানজটও নেই। মির্জাপুর অংশে সারা দিন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি গাড়ি চলেছে। তবে যানজট ছিল না। রাত আটটা পর্যন্ত কোনো যানজট দেখা যায়নি এ সড়কে।

গাজীপুরে চন্দ্রা এলাকায় গাড়ির ব্যাপক চাপ রয়েছে, তবে বড় রকমের কোনো যানজট নেই। গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। চন্দ্রা থেকে গাজীপুরের দিকে আট কিলোমিটার, চন্দ্রা থেকে নবীনগরের দিকে জিরানী বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এবং চন্দ্র থেকে টাঙ্গাইলের দিকে গড়াই মোড় পর্যন্ত ১০ মিটার এলাকায় ধীর গতিতে চলছে গাড়ি। তবে রাতে যানজটের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সালনা (কোনাবাড়ী) হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাসুদেব সিনহা প্রথম আলোকে বলেন, যানবাহন কোথাও থেমে নেই। তবে ধীর গতিতে চলছে। দুপুর পর্যন্ত সড়ক ফাঁকা ছিল। দুপুরের পড়ে সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

টাঙ্গাইল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু (যমুনা সেতু) পর্যন্ত কোনো যানজট নেই। তবে সড়কে যানবাহনের চাপ থাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে গাড়ির গতি কম রয়েছে। যাত্রীরা বলছেন, সোমবার পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন অফিস ছুটি হওয়ার পর একযোগে সবাই বাড়ি ফিরছেন। ফলে রাতে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সুঞ্জিত কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, যানজট নিরসনে টাঙ্গাইলের ৬৫ কিলোমিটার অংশে ৮০০ পুলিশ ও ২০০ আনসার সদস্য কাজ করছেন।

রাত আটটার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের তালুকদার পাড়া থেকে নলকা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কে যানজট দেখা যায়। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত গাড়ি থেমে থেমে চলছে। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানি প্রথম আলোকে বলেন, গাড়ির প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। হাটিকুমরুল পর্যন্ত যানজট রয়েছে। গাড়ি চলছে ধীর গতিতে।

বগুড়ার তিন মাথা থেকে রেলগেট পর্যন্ত যানজটপ্রবণ এলাকা। রাত আটটার দিকে এই এলাকায় থেমে থেমে গাড়ি চলতে দেখা গেছে। তবে বড় ধরনের কোনো যানজট নেই।