বিভিন্ন জেলায় ভূকম্পন অনুভূত

ভূমিকম্প অনুভূত হলে বিভিন্ন ভবন থেকে লোকজন রাস্তায় নেমে আসেন। ট্রাফিক মোড়, পাবনা, ১২ সেপ্টেম্বর। ছবি: হাসান মাহমুদ
ভূমিকম্প অনুভূত হলে বিভিন্ন ভবন থেকে লোকজন রাস্তায় নেমে আসেন। ট্রাফিক মোড়, পাবনা, ১২ সেপ্টেম্বর। ছবি: হাসান মাহমুদ

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। আজ বুধবার সকালে কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, রাজশাহী ও সিলেটে ভূকম্পন অনুভূত হয়। কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো পাওয়া যায়নি।

কিশোরগঞ্জে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ভূকম্পন অনুভূত হয়। তা বেশ কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। ভূমিকম্পের সময় কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায় ভবন নড়ে ওঠে। আতঙ্কিত লোকজন ভবন ছেড়ে সড়কে নেমে আসে।

প্রথম আলোর শেরপুর প্রতিনিধি জানান, সকাল ১০টা ৫২ মিনিট থেকে ৪০ সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্পে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে শহরবাসী ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

সিলেটে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ভূকম্পন অনুভূত হয়। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ গণেশ চন্দ্র দাস জানান, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩।

নীলফামারীর সৈয়দপুরে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ৫০ সেকেন্ড স্থায়ী ওই ভূকম্পন অনুভূত হয়। এ সময় লোকজন বহুতল ভবন থেকে দ্রুত নিচে নেমে আসে এবং শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩। এর উৎপত্তি স্থল হলো ভারতের আসাম রাজ্য।

ভূমিকম্পে সৈয়দপুরের সর্বত্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময় ভূকম্পন এই প্রথম হওয়ায় লোকজন ছোটাছুটি করতে থাকে এবং বহুতল ভবন থেকে নামতে গিয়ে কয়েকজন আহত হন। উপজেলা প্রশাসন জানায়, ভূকম্পনে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

পঞ্চগড়ে সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়। এ সময় বিভিন্ন ভবন, অফিস ও ঘরবাড়ি থেকে মানুষ বাইরে বেরিয়ে আসে। ভূকম্পন স্থায়িত্ব প্রায় ৮ থেকে ১০ সেকেন্ড বলে জানা গেছে। তবে পাঁচটি উপজেলার খোঁজ নিয়ে কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকার ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকেন্দ্র থেকে ২৯৩ কিলোমিটার উত্তরে, ভারতের আসামে।