বড়াইগ্রামে নারীসহ 'হিজবুত তওহিদের' ১৯ কর্মী আটক

নাটোরের বড়াইগ্রামে তিন নারীসহ ১৯ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের নোটাবাড়ীয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাঁদের আটক করা হয়। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের আটক ব্যক্তিরা নিজেদের হিজবুত তওহিদের কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার নোটাবাড়িয়া গ্রামের সোহেল রানা (৩৫), জাহাঙ্গীর আলম (৩০), আব্দুস সালাম (৩৫), বনপাড়া পৌরসভার দিয়ারপাড়া গ্রামের বিপ্লব হোসেন (৩২) ও তাঁর ভাই আব্দুর রাজ্জাক (২৮), সাজ্জাদ হোসেন (৩০), বনপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৩৯), কালিকাপুর গ্রামের আব্দুস সবুর খান (৩৫), আগ্রাণ গ্রামের বাদশা মিয়া (৪৪), পাবনার চাটমোহর উপজেলার চকপাড়া গ্রামের আকরাম হোসেন (৩৫), সদর থানার চরগোবিন্দপুর গ্রামেররফিকুল ইসলাম (৩১), রাজশাহী জেলার রাজপাড়া থানার বিলশিমলা গ্রামের আসাদুজ্জামান (৪৫), মতিহার থানার শ্যামপুর গ্রামের রবিউল করিম (৪৫), বোয়ালিয়া থানার তালাইমাড়ি গ্রামের তোতা মিয়া (৫০), বগুড়া জেলার গাবতলী থানার জাহাঙ্গীর আলম (৫০), ঝিনাইদহের মহেষপুর গ্রামের শামসুজ্জামান মিলন (৩০), নরসিংদীর সদর থানার পাথরপাড়া গ্রামের আফরোজা বেগম (৩৫), রাজশাহীর চারঘাট থানার বালুদিয়ার গ্রামের লাভলী বেগম (৩৪) ও মেহেরপুরের গাংনী থানার দেবীপুর গ্রামের বেনুর বেগম (৩৫)।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি সভা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা নিজেদের হিজবুত তওহিদের কর্মী বলে দাবি করেছেন। তাঁরা আসলে কিসের সঙ্গে জড়িত এবং কী উদ্দেশ্যে সভা করছিলেন, সে বিষয়ে খোঁজ নিতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের বিষয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।