কতগুলো প্রতিষ্ঠান ও কবে এমপিওভুক্ত, নির্ভর করছে যাচাই-বাছাইয়ের ওপর: শিক্ষামন্ত্রী

নুরুল ইসলাম নাহিদ। ফাইল ছবি
নুরুল ইসলাম নাহিদ। ফাইল ছবি

এবার নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে—এটা নিশ্চিত। তবে কতগুলো প্রতিষ্ঠান ও কবে এমপিওভুক্ত করা হবে তা নির্ভর করছে যাচাই-বাছাইয়ের ওপর।

এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আজ বুধবার সচিবালয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।

যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মাসে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি অংশ (মূল বেতন ও কিছু ভাতা) দেওয়া হয়, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত বলা হয়। আর যেগুলো এমপিওভুক্ত নয়, সেগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা পান না।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে ইতিমধ্যে নয় হাজার ৫৯৮টি আবেদন জমা পড়েছে। এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন মাঠ পর্যায়ে শারীরিকভাবে গিয়ে যাচাই করতে হবে। যাচাই-বাছাই করে উপযুক্ত সময়ে দেওয়া হবে। এ নিয়ে সন্দেহ নেই।

তখন সাংবাদিকেরা জানতে চান কতগুলো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে পারে—জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। যাচাই-বাছাইয়ের পর অর্থপ্রাপ্তি-সবকিছু মিলিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দেওয়া হবে। কি পদ্ধতিতে দেওয়া হবে সেটাও সিদ্ধান্ত হবে।

নির্বাচনের আগে দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এটার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তাহলে কত দিন লাগতে পারে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা অনুমান করে বলার দরকার নেই। এটা কবে হবে, কীভাবে হবে, তা যাচাই করে দেওয়া হবে। যখন যাচাই-বাছাই শেষ হবে এবং প্রস্তুত হবে তখনই দেওয়া হবে।

সভায় শিক্ষক নেতারা শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এগুলো তিনি সরকারকে অবগত করবেন। সভায় বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।