চুরি ও মারধর: ১১ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার

সাংবাদিক ও চার শিক্ষার্থীকে মারধর এবং চুরির ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১১ কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী তাঁর নির্বাহী ক্ষমতাবলে তাঁদের বহিষ্কারের আদেশ দেন।

যেসব ঘটনায় বহিষ্কার
১০ সেপ্টেম্বর সংবাদকর্মী মিনহাজ তুহিনকে মারধরের ঘটনায় ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান ওরফে রূপককে এক বছর, ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন ও রাজিবুল আলম এবং মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তৈমুর হোসেনকে দুই মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃত ছাত্ররা সবাই ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন বিজয় পক্ষের নেতা আবু সাঈদের অনুসারী।

এর আগের দিন ৯ সেপ্টেম্বর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী শান্তনু নাথকে মারধর করেন বগিভিত্তিক সংগঠন ভার্সিটি এক্সপ্রেসের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী এমাদ উদ্দীন, পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী লিপটন দাশ, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সালাহউদ্দীন সাজ্জাদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিলকে দুই মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ছাত্ররা সবাই ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমানের অনুসারী।

এদিকে ৩০ জুলাই আমানত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জাহিন খন্দকারের কক্ষ থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কাউসার ইবনে কাসেম ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত হাসানকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা দুজনই ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন সিএফসি পক্ষের নেতা রেজাউল হকের অনুসারী।

গত ২৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দী হলে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী গিয়াস উদ্দীনকে মারধর করেন সামদানি রহমান ওরফে জিকু। পাশাপাশি আলাওল হলের খেলার মাঠে আরেক শিক্ষার্থী ও তাঁর অভিভাবকেও মারধর করেন আধুনিক ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এ শিক্ষার্থী। তিনি বিজয় পক্ষের নেতা আবু সাঈদের অনুসারী। এ দুই ঘটনায় সামদানি রহমানকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। যদি তারা আবার কোনো ঝামেলায় জড়ায়, তবে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। বহিষ্কারাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবে না। তাদের ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করতে দেখলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।