বৈরী আবহাওয়ায় লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ

বৈরী আবহাওয়ার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে দফায় দফায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখছে কর্তৃপক্ষ। ছবি: এম রাশেদুল হক
বৈরী আবহাওয়ার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে দফায় দফায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখছে কর্তৃপক্ষ। ছবি: এম রাশেদুল হক

বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল বুধবার রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর বাতাস থাকায় লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। তবে নৌপথ সচল রাখতে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১২-১৩টি চলাচল করছে।

অন্যদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে দফায় দফায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কাঁঠালবাড়ি ঘাট সূত্র জানায়, গতকাল বিকেলে থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হয় কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া পথের লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি চলাচল। এ সময় দমকা বাতাসের সঙ্গে নদীতে উত্তাল স্রোত দেখা দেয়। একই সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে নৌপথে সব ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে রাতেই লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফেরি চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।

মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাম হোসেন প্রথম আলোকে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই নৌপথে চলাচলকারী ১৯টি ফেরির মধ্যে ১২-১৩টি চলাচল করছে। ঘাটের উভয় পারে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে দুই শতাধিক যানবাহন। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে না।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে কাঁঠালবাড়ি ঘাট এলাকায় দেখা যায়, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে বইছে হালকা বাতাস। ঘাটের চারটি সংযোগ সড়কে রয়েছে যানবাহনের চাপ। ২ ও ৪ নম্বর ঘাটে কয়েকটি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া লঞ্চঘাটে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫টি লঞ্চ নোঙর করে রাখা হয়েছে। স্পিডবোটঘাটেও একই চিত্র।

দৌলতদিয়া ঘাটে আটকে পড়ে শত শত গাড়ি। ছবি: এম রাশেদুল হক
দৌলতদিয়া ঘাটে আটকে পড়ে শত শত গাড়ি। ছবি: এম রাশেদুল হক

শিমুলিয়াগামী মাইক্রোবাসচালক ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকেই ঘাট এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল নয়টার দিকে ঘাটে আসি। বেলা একটা বেজে গেলেও ফেরিতে উঠতে পারিনি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঘাটে নাকি ঠিকমতো ফেরি চলছে না। তাই ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে মাইক্রোবাস নিয়ে আটকা পড়েছি।’

ঢাকাগামী যাত্রী মোয়াজ্জেম হোসেন খান বলেন, ‘ঘাটে এসে দেখি স্পিডবোট, লঞ্চ ও ফেরি কিছুই নেই। টানা দুই ঘণ্টা বৃষ্টির মধ্যে আটকা পড়েছি। পরে একটি ফেরিতে উঠে পদ্মা পাড়ি দিই।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কাঁঠালবাড়ি লঞ্চঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, ‘আমাদের এখানে ২ নম্বর বিপৎসংকেত দেওয়া হয়েছে। কাঁঠালবাড়ি থেকে শিমুলিয়াগামী পর্যন্ত মোট ৮৫টি লঞ্চ চলাচল করে। গতকাল রাত থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না আসা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না।’

অন্যদিকে, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আজ দুপুর ১২টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে দৌলতদিয়া ঘাটে আটকে পড়ে শত শত গাড়ি।