নোয়াখালীর ছয়টি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা

নোয়াখালীতে ছয়টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক হেভিওয়েট নেতা এবার মনোনয়নপ্রত্যাশী। আছে নতুন মুখও। ফলে দুই পক্ষকেই প্রার্থী চূড়ান্ত করতে বেগ পেতে হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে।


নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক): এই আসনের বর্তমান সাংসদ আওয়ামী লীগের এ এইচ এম ইব্রাহিম। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন আরও তিনজন। তাঁরা হলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য খন্দকার রুহুল আমিন, ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন আরমান।

এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন। অন্যান্য দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টির সালাহ উদ্দিন আহমদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুখ। জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন, জাতীয় যুব জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এ কে এম এরফান খান।

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী আংশিক): আওয়ামী লীগের মোরশেদ আলম এই আসনের বর্তমান সাংসদ। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী আছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জাফর আহম্মদ চৌধুরী।

এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান। অন্যান্য দলের মধ্যে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান মঞ্জুর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খলিলুর রহমান। তিনি ইসলামিক শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক।

নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ): বর্তমান সাংসদ মামুনুর রশিদ কিরণ ছাড়াও এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন আরও তিনজন। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিনহাজ আহমেদ জাভেদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহসম্পাদক লুৎফুন্নাহার মুন্নি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ব্যবসায়ী এ টি এম এনায়েত উল্যাহ।

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু ও তাঁর স্ত্রী শামীমা বরকত। অন্যান্য দলের মধ্যে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফজলে এলাহী সোহাগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নজীর আহমাদ তৎপর রয়েছেন।

নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর উপজেলা): এই আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। এবারের নির্বাচনে তিনিই এখানে দলের একমাত্র মনোনয়নপ্রত্যাশী। এখানে বিএনপির মনোনয়ন চান দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ শাহজাহান এবং নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ আজাদ।

অন্যান্য দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন মিঠু, সাবেক সভাপতি মোবারক হোসেন আজাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবদুল হান্নান এবং সিপিবির হাবীব ইমন তৎপর রয়েছেন।

নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা): বর্তমান সাংসদ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়া এ আসনে দলের কোনো মনোনয়নপ্রত্যাশী নেই। অপরদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ এ আসনে দলের এককপ্রার্থী।
অন্য দলের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কবিরহাট উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাছের দলের প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করছেন।

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) : বর্তমান সাংসদ আওয়ামী লীগের আয়েশা ফেরদাউস। এ আসনে তিনি ছাড়াও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশা করছেন সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাহমুদ আলী রাতুল।

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দুজন। তাঁরা হলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ব্যবসায়ী মো. আলাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন। এ আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচনের জন্য মাঠে তৎপর রয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক সাংসদ ফজলুল আজিম। অন্য দলের মধ্যে এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শফিউল্যাহ মুস্তফাকে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।