আয় ও সম্পদ দুটিই বেড়েছে সাংসদ আজগারের

আলী আজগার
আলী আজগার

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের (দামুড়হুদা, জীবননগর ও সদরের একাংশ) বর্তমান সাংসদ ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত দলীয় প্রার্থী আলী আজগার টগরের আয় ও সম্পদ দুটিই বেড়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলী আজগার ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথম সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েও সাংসদ নির্বাচিত হন।
এবার তিনি বার্ষিক আয় উল্লেখ করেছেন ৭৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৪ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাতে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৭০ টাকা, বাড়ি/দোকানভাড়া ৯৩ হাজার টাকা, ব্যবসা খাতে ৩৯ লাখ ৪৯ হাজার ৬৯৬ টাকা, চাকরি খাতে ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ব্যাংক সুদ ২৩ হাজার ৭৫৪ এবং সাংসদ হিসেবে সম্মানী ও অন্যান্য ভাতা ২৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯১৪ টাকা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ৫৪ লাখ ৩৮ হাজার ২৭৮ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাতে ৯৬ হাজার ৫৩০ টাকা, ব্যবসা খাতে ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯৪০, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ২৩ লাখ, ব্যাংক সুদ ৬ হাজার ৪৫৮ এবং সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী ও অন্যান্য ভাতা ১৪ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০ টাকা। সে হিসাবে গত পাঁচ বছরে তাঁর আয় বেড়েছে ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩৫৬ টাকা।
এবার আজগারের অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৯২ হাজার ৮০ টাকার। এর মধ্যে নগদ আছে ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৭ টাকা। এ ছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির শেয়ার ২৩ লাখ, গাড়ি (অর্জনকালীন মূল্য) ৯৪ লাখ ৯১ হাজার ৮৭, স্বর্ণ ও মূল্যবান ধাতু ৫০ হাজার, ইলেকট্রনিক–সামগ্রী ২ লাখ ৫২ হাজার ৫০০, আসবাব ১ লাখ ৮০ হাজার এবং অন্যান্য (বিমা) ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৮ টাকা। ২০০৮ সালের হলফনামায় অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৬৮ টাকার। সে হিসাবে গত পাঁচ বছরে তাঁর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১ কোটি ২০ লাখ ১৯ হাজার ৯১২ টাকার।
আজগারের স্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৩৯ লাখ ৯৭ হাজার ৭২৬ টাকার। এর মধ্যে ২ লাখ ১২ হাজার ৫১০ টাকা মূল্যের ২৭৬ দশমিক ৫০ শতক কৃষিজমি, ৩৯ হাজার ৮৮ টাকা মূল্যের দশমিক ১০২ একর কৃষিজমি, ১ কোটি ৫২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৫ টাকা মূল্যের অকৃষিজমি ও সাততলা ভবনের ৫০ শতাংশের মূল্য ৮৫ লাখ ১৯৩ টাকা। ২০১৪ সালেও কৃষিজমির পরিমাণ ও মূল্য একই উল্লেখ করা হয়েছিল।