আওয়ামী লীগ-বিএনপির লড়াই শুধু এক আসনে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনের মধ্যে কেবল লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি। অন্য তিনটি আসনে লড়ছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকেরা।
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে ঐক্যফ্রন্ট কিংবা মহাজোট ভাগ বসাতে পারেনি। এখানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা ইতিমধ্যে প্রচারণা শুরু করেছেন। কর্মী-সমর্থকেরা উৎসাহ নিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন।
এ কে এম শাহজাহান কামাল বলেন, ‘যোগ্য ও শক্তিশালী প্রার্থী মনে করেই দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার জন্য কাজ করছেন।’
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছেন। সবখানে মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছেন। তবে প্রতিপক্ষের লোকজনের হুমকি-ধমকির কারণে অনেক নেতা-কর্মী আতঙ্কে আছেন।
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মোহাম্মদ নোমান।
লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে। কিন্তু প্রার্থীদের কেউ আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপির নন। মহাজোটের নৌকা প্রতীকে লড়বেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের আনোয়ার হোসেন খান ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে এখানে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়বেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহাদাত হোসেন।
একই অবস্থা লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের। এখানে নৌকার মাঝি হয়েছেন বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান। এ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব লড়বেন ধানের শীষ প্রতীকে।
জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, জেলার চারটি আসন বিএনপির ‘দুর্গ’ হিসেবে পরিচিত। জোটের কারণে এখন বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। ভোটাররা যদি শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তাহলে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক বলেন, ‘কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে আমরা জেলার চারটি আসনই চেয়ে ছিলাম। কিন্তু একটি পেয়েছি। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের প্রথমে মন খুব খারাপ ছিল। তাঁরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কিন্তু এখন জোট ও প্রতীকের স্বার্থে সবাই কাজ করছেন।’