দুই প্রার্থীর মুখে নানা প্রতিশ্রুতি

নাসির উদ্দীন ও অনিন্দ্য ইসলাম
নাসির উদ্দীন ও অনিন্দ্য ইসলাম

যশোরের দুটি আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নতুন মুখ হিসেবে দুজন নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন। এর মধ্যে যশোর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. নাসির উদ্দীন (অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল)। এই প্রথমবার তাঁরা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সদ্য প্রয়াত তরিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি লড়বেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদের সঙ্গে।

যশোর-৩ আসন থেকে অনিন্দ্য ইসলামসহ বিএনপি চারজন নেতা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দলীয় টিকিট পান অনিন্দ্য। মনোনয়নবঞ্চিত অপর তিনজন বর্তমানে অমিতের নির্বাচনী প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সদর উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও শহর বিএনপির সভাপতি মারুফুল ইসলামকে পৌর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, ‘আমার দুর্ভাগ্য যে এ রকম একটি অস্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে জীবনে প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলো। তারপরও গণসংযোগে গেলে ৮০ বছরের মানুষ যখন বলেন যে সাহস হারাবে না। তখন নির্বাচনের মাঠে থাকার অনুপ্রেরণা পাই।’

অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনে জিতলে আমার প্রথম কাজ হবে যশোরে রাজনৈতিক সহিষ্ণুতার যে ঐতিহ্য ছিল, তা আবার ফিরিয়ে আনা। দ্বিতীয় কাজ হবে যশোরে থমকে যাওয়া উন্নয়নকাজের গতি ফেরানো। একই সঙ্গে মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল করা।’

যশোর-২ আসনে নতুন মুখ আওয়ামী লীগের প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. নাসির উদ্দীন। তিনিও এই প্রথমবার কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর যশোর জেলা নায়েবে আমির আবু সাঈদ মুহম্মদ শাহাদাৎ হুসাইন। আবু সাঈদ এই আসন থেকে আগেও সাংসদ নির্বাচিত হন।

এই আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ মনিরুল ইসলামসহ ১৫ জন দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে নাসির উদ্দীনই নৌকা প্রতীকের টিকিট পান। সাংসদ মনিরুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও পরে তা আবার প্রত্যাহার করে নেন। মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রায় সবাই এখন নাসির উদ্দীনের পক্ষে গণসংযোগে নেমেছেন।

নতুন প্রার্থী হিসেবে নাসির উদ্দীন বলেন, ‘আমি প্রথমবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ নির্বাচনে নেমেছি। সাধারণ মানুষ খুবই উচ্ছ্বসিত। ভোটের আনন্দ-উৎসব চলছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কাউকে ভোটের মাঠে তেমন দেখছি না।’

নির্বাচনে জিতলে নাসির উদ্দীন প্রথমে এলাকার মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নির্মূল করতে চান। তিনি বলেন, ‘সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় মাদকের প্রভাব খুব বেশি। যুবসমাজ ও নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারলে মাদক ও সন্ত্রাস ৯০ ভাগ কমে যাবে।’