মেঘনার ভাঙন রোধের প্রতিশ্রুতি রব-মান্নানের

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব । এ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মহাজোটের প্রার্থী বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান। ভোটের মাঠে এ দুজনের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুই জোটের দুই প্রার্থীর এবার অন্যতম প্রতিশ্রুতি মেঘনার ভাঙন রোধ।

জানা গেছে, আ স ম আবদুর রব ১৯৯৬ সালে জেএসডি থেকে এ আসনে বিজয়ী হয়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগের ঐকমত্যের সরকারের মন্ত্রী হন। এর আগে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালেও জাসদ থেকে তিনি এ আসনে নির্বাচিত হন।

আ স ম আবদুর রব গত বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, বিগত দিনের প্রতিশ্রুতিগুলো তিনি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এবার নির্বাচিত হলে তিনি রামগতি ও কমলনগরকে মেঘনার অব্যাহত ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য ব্লকবাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি ড্রেজার দিয়ে নদী শাসনের ব্যবস্থা নেবেন।

এদিকে মেজর (অব.) আবদুল মান্নান ১৯৯১ সালে ঢাকার একটি আসন থেকে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী হন। পরে বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে বিকল্পধারার প্রার্থী হিসেবে তিনি ২০০৮ সালে এ আসনে (রামগতি-কমলনগর) নির্বাচন করেও হেরে যান। ওই সময় রামগতি ও কমলনগরে মেঘনার ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি তিনি।

মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলে মহাজোটের ইশতেহার বাস্তবায়নের পাশাপাশি তিনি রামগতি ও কমলনগরে বাস্তবায়নাধীন মেঘনার ভাঙন প্রতিরোধের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবেন। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করবেন।

ঐক্যফ্রন্ট ও মহাজোটের দুই প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বিষয়ে রামগতি ও কমলনগরের বিভিন্ন এলাকার নানা শ্রেণি–পেশার অন্তত ২০ জন ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিনিধির। তাঁরা বলেন, মন্ত্রী থাকার সময় আ স ম রব এলাকায় বেশকিছু দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছিলেন। বিশেষ করে ওই সময় ভুলুয়া নদী খনন করায় জলাবদ্ধতা দূর হয়ে এলাকার কয়েক হাজার একর জমি চাষের উপযোগী হয়। অন্যদিকে মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এ এলাকায় কখনো নির্বাচিত হননি। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে তিনি মেঘনার ভাঙন রোধের চেষ্টা করেছেন। এবার নির্বাচিত হলে নদীভাঙন রোধে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি  দিচ্ছেন তিনি। আ স ম রবও নদীভাঙন রোধের কথা বলছেন। এটা রামগতির প্রধান সমস্যা। তাঁদের এ প্রতিশ্রুতিতে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ আশাবাদী হচ্ছে।