প্রার্থীদের মধ্যে স্বশিক্ষিত সোয়া ৪ শতাংশ

ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রকোনা—এই চার জেলা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ। এই বিভাগের মোট সংসদীয় আসন ২৪টি। এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই বিভাগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে ২৪ জন ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ২৪ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।

এই দুই জোট থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, হলফনামায় প্রার্থীরা তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতার যে বর্ণনা দিয়েছেন, তাতে দেখা গেছে, প্রার্থীদের মধ্যে দুজন স্বশিক্ষিতও রয়েছেন। অর্থাৎ প্রার্থীদের ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ স্বশিক্ষিত। দেশের সবচেয়ে বড় নির্বাচনে স্বশিক্ষিত হয়েও নির্বাচন করে নির্বাচিত হলে তাঁরা পরবর্তী সময়ে কীভাবে দেশ পরিচালনা করবেন, সেটা অনেকটাই প্রশ্নসাপেক্ষ।   

স্বশিক্ষিত

৪৮ জন প্রার্থীর মধ্যে দুজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বশিক্ষিত। তাঁরা হলেন মহাজোট থেকে নেত্রকোনা-১  আসনের মানু মজুমদার ও ঐক্যফ্রন্ট থেকে একজন। অর্থাৎ এই বিভাগের মোট ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ প্রার্থী স্বশিক্ষিত। 

মাধ্যমিক

মহাজোটের ২৪ প্রার্থীর মধ্যে একজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক। এর মানে, এই জোটের ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক। আর ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের মধ্যে দুজন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক। এই জোটের ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক। অর্থাৎ ৪৮ প্রার্থীর ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ জন মাধ্যমিক পাস। 

উচ্চমাধ্যমিক

মহাজোটের ২৪ প্রার্থীর মধ্যে দুজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক। এর মানে, এই জোটের ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক। তবে এই তালিকায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের কেউ নেই। অর্থাৎ দুই জোটের ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ জন উচ্চমাধ্যমিক পাস।

স্নাতক

মহাজোটের ২৪ প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। এর মানে, এই জোটের ৫৪ দশমিক ১৭ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। আর ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের মধ্যে ১১ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। এর মানে, এই জোটের ৪৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। অর্থাৎ দুই জোটের ৫০ শতাংশ প্রার্থী স্নাতক পাস। 

স্নাতকোত্তর

মহাজোটের ২৪ প্রার্থীর মধ্যে ৭ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর। এর মানে, এই জোটের ২৯ দশমিক ১৭ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর। আর ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের মধ্যে ১০ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর। এর মানে, এই জোটের ৪১ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর। অর্থাৎ দুই জোটের ৩৫ দশমিক ৪২ শতাংশ প্রার্থী স্নাতকোত্তর পাস।