মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন লাঙ্গলের দুই প্রার্থী

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) ও কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির (জাপা) দুইজন প্রার্থী সমানতালে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন। জাপার প্রার্থীরা এভাবে মাঠে থাকলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ভোট কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

দৌলতপুর আসনে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশা। শেষমেশ তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির শাহরিয়ার জামিল জুয়েল। সরওয়ার নৌকা প্রতীক পাওয়ার পরও হাল ছাড়েননি তিনি। দলের সিদ্ধান্তে তিনি অটল থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

গতকাল মঙ্গলবার দৌলতপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শাহরিয়ারের লাঙ্গল প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় দেখা গেছে। অনেক জায়গায় পোস্টারও টাঙানো হয়েছে। প্রতিদিনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি নির্বাচনী পথসভা ও ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন বলে জানা গেছে। শাহরিয়ারের বাবা প্রয়াত কোরবান আলী এরশাদের আমলে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। সেই হিসেবে শাহরিয়ারের একটা জনপ্রিয়তা রয়েছে। ভোটাররা জানান, এতে নৌকায় শেষ পর্যন্ত কিছুটা ধাক্কা লাগতে পারে।

গতকাল রিফায়েতপুরসহ আশপাশের এলাকায় প্রচারণা চালান শাহরিয়ার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় পার্টির নিজস্ব ভোট আছে অন্তত ৩০ হাজার।  সংসদ নির্বাচন  সুষ্ঠু হলে তিনি অনেক ভোট পাবেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।

এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী রেজা আহাম্মেদ বাচ্চুসহ দলটির শীর্ষ ২৫ জন নেতা-কর্মী জেলে।

অন্যদিকে, কুমারখালী-খোকসা আসনে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন লাঙ্গলের আরেক প্রার্থী আশরাফুল হক। তরুণ এই নেতা ১৯৯১ সাল থেকে রাজনীতির মাঠে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক।

প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি প্রচার চালাচ্ছেন আশরাফুল। দিনরাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোট চাইছেন। ভোট টানতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। বিশেষ করে নির্বাচনী এলাকা তাঁত ও কৃষিশিল্প–নির্ভর এলাকা। এ এলাকার তাঁতশিল্পকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে নানামুখী পদক্ষেপের কথা শোনাচ্ছেন।

আশরাফুল বলেন, বিগত দিনে বড় দুই দলের কাছ থেকে এলাকাবাসী এলাকার তেমন কোনো উন্নয়ন দেখতে পাননি। ভোটাররা এবার বড় দুই দলের বাইরে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীকে নিয়ে ভাবছেন। এলাকায় জাতীয় পার্টির অন্তত ২০ হাজার ভোটার আছেন। গতকাল তিনি কুমারখালীর চর সাদীপুর, শিলাইদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে গণসংযোগ করেন।

এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নতুন মুখ সেলিম আলতাফ জর্জ। আর ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক সাংসদ সৈয়দ মেহেদী হাসান রুমী।