'আমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করিনি'

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জাফর ইকবাল সিদ্দিকী। ডোমার, নীলফামারী, ২৮ ডিসেম্বর। ছবি: প্রথম আলো
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জাফর ইকবাল সিদ্দিকী। ডোমার, নীলফামারী, ২৮ ডিসেম্বর। ছবি: প্রথম আলো

‘আমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করিনি, আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করানো হয়নি, নির্বাচনী মাঠে আছি, আগামী ৩০ তারিখের নির্বাচনে ভোটারদের সমর্থনে বিজয়ী হব বলে আশা করছি।’ কথাগুলো বললেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী সাবেক সাংসদ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী।

শুক্রবার দুপুরে ডোমার উপজেলা সড়কে অবস্থিত নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জাফর ইকবাল সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেছেন, ‘মহাজোট ব্যতীত জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা মুক্তভাবে নিজ নিজ আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। কেউ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ এই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আফতাব উদ্দিন সরকার এবং তাঁর লোকজন প্রচার করছেন, আমি নাকি আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি অথবা আমাকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি আপনাদের মাধ্যমে আমার নির্বাচনী এলাকা ডোমার-ডিমলা ও চিলাহাটিবাসীকে জানাতে চাই, আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করিনি, আমাকে কেউ প্রত্যাহার করার নির্দেশও দেয়নি এবং আমি প্রত্যাহার করব না। আমি এই এলাকায় আছি, ৩০ তারিখ নির্বাচন করব এবং জনগণের রায় নিয়ে বিজয়ী হব বলে আশাবাদী।’ এ সময় তিনি জাপার চেয়ারম্যান এরশাদের স্বাক্ষরিত চিঠি উপস্থিত সাংবাদিকদের মাঝে বিতরণ করেন। ওই চিঠিতে জাতীয় পার্টির কেউ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে না, সবাইকে নির্বাচনের মাঠে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ সময় সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডোমার পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

এ বিষয়ে কথা বললে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ আফতাব উদ্দিন সরকার তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তারা একবার বলে ইয়েস, একবার বলে নট। তাদের এসব দেখার মতো সময় আমার নেই, আমি আমার প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত আছি।’

এই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন: আওয়ামী লীগের আফতাব উদ্দিন সরকার (নৌকা), বিএনপির মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির জাফর ইকবাল সিদ্দিকী (লাঙ্গল), ন্যাপের মো. জেবেল রহমান গাণি (গাভী), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাইফুল ইসলাম (হাতপাখা), বাসদের মো. ইউনুস আলী (মই), জমিয়াতে উলামায় ইসলাম বাংলাদেশের মঞ্জুরুল ইসলাম (খেজুর গাছ) ও বিএনএফের সিরাজুল ইসলাম (টেলিভিশন)।