'স্যার, আমারে একটা ভোট দিয়েন'

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের প্রার্থী সৈয়দ খালেদ মোস্তফা। ছবি: প্রথম আলো
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের প্রার্থী সৈয়দ খালেদ মোস্তফা। ছবি: প্রথম আলো

‘আসসালামু আলাইকুম, স্যার, আমি এমপি প্রার্থী সৈয়দ খালেদ মোস্তফা, আমারে বটগাছ মার্কায় একটা ভোট দিয়েন।’ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের প্রার্থী হিসেবে তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে, হাটে-বাজারে, চা-স্টল সর্বত্রই পায়ে হেঁটে হেঁটে একা একা সকলের কাছে ভোট ও দোয়া চাইছেন।

সৈয়দ খালেদ মোস্তফা নিজের পোস্টার নিজেই লাগান ও দেয়ালে নিজেই লিখেন।

২০০১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে প্রতিদিন মানুষের কাছে ভোট ও দোয়া চাচ্ছেন। নির্বাচনের পরের দিন থেকেই আবার ভোট ও দোয়া চান। ২০০৭ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ঘুড়ি প্রতীক পান। কিন্তু জরুরি অবস্থা জারির পর সে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে শতকরা একভাগ ভোটারের সমর্থনের তালিকা না থাকায় বাতিল হয়। মনোনয়নপত্র বাতিলের পরের দিন থেকেই তিনি ভোটও চাওয়া শুরু করেন ২০১৪ সালের নির্বাচনের জন্য। এ নির্বাচনেও একই কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।

দুই নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার বিষয়ে ব্যাপারে খালেদ মোস্তফা বলেন, ‘আমি যাতে এমপি না হতে পারি এ জন্য ষড়যন্ত্র করে মনোনয়ন বাতিল করা হয়।’

নির্বাচনী প্রচারে সৈয়দ খালেদ মোস্তফা। ছবি: প্রথম আলো
নির্বাচনী প্রচারে সৈয়দ খালেদ মোস্তফা। ছবি: প্রথম আলো

প্রচারণায় থেমে নেই খালেদ। ২০১৪ সালে মনোনয়ন বাতিলের পরদিন থেকেই ২০১৮ সালের নির্বাচনের জন্য ভোট ও দোয়া চাওয়া শুরু করেন। তিনি এবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের প্রার্থী হিসেবে ‘বটগাছ’ প্রতীক পেয়েছেন।
সৈয়দ খালেদ মোস্তফা সব পুরুষ ভোটারকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করেন। নারী ভোটারদের ‘মা’ বলে সম্বোধন করেন। এই আসনের সবাই তাকে চিনেন। সবাই তাকে ‘এমপি সাহেব’ বলে সম্বোধন করেন। পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সের আধা পাকা দাঁড়ি-চুল, সাদা টুপি-পাঞ্জাবি-পায়জামা পরিহিত এই প্রার্থীর কোনো পেশা নেই। সারা বছর ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোট ও দোয়া চাওয়াই তার পেশা। তিনি বলেন, ‘দল থেকে একটি টাকাও দেয়নি। ভাইবোন ও ভোটারের টাকায় পোস্টার ছাপিয়েছি।’
ষড়যন্ত্র না হলে নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদী মোস্তফা খালেদ।