সিরাজগঞ্জে ভোট হচ্ছে দ্রুত

সিরাজগঞ্জ–১, ২ ও ৩ আসনের ১০টি কেন্দ্রে দ্রুততার সঙ্গে ভোট দেওয়ার চিত্র পাওয়া গেছে। এসব কেন্দ্রে বিএনপির কোনো এজেন্ট পাওয়া যায়নি। আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের (সিরাজগঞ্জ-২) একটি কেন্দ্রে গিয়ে এটি তালা ঝোলানো অবস্থায় দেখা গেছে।

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের নলখিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ১০টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, ৮০০ ভোট নেওয়া হয়ে গেছে। সেখানে মোট ভোটার ২ হাজার ৮২৩ জন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কানাই লাল সাহা প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচটি বুথে সকাল থেকেই ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি ছিল। টানা দুই ঘণ্টা ভোটের পরে ভোট গ্রহণের হার কমে যায়। এ কেন্দ্রে বিএনপির কোনো এজেন্ট নেই।

সিরাজগঞ্জ-১ আসনে হাসনা মুজিব লুৎফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলা ১১টায় গিয়ে দেখা যায়, ৩ হাজার ৪৬টি ভোটের মধ্যে ততক্ষণে ৫০ শতাংশ ভোট গ্রহণ হয়ে গেছে। এখানকার প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাহবুব হাসান এই দ্রুত ভোট দেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে বলেন, সকালেই বেশির ভাগ মানুষ ভোট দিতে আসেন। কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা আট।

সিরাজগঞ্জ-১ আসনের পূর্ব গারোদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভোটারের সংখ্যা খুব কম। এখানে ৩ হাজার ৯৩২ ভোট আছে বলে জানান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সোয়া তিন ঘণ্টায় এখানে ভোট পড়েছে দেড় হাজার। আজ এখানে বিএনপির কেউ এজেন্ট হওয়ার আবেদন নিয়ে আসেননি। কাকে আমি বসাব?’

সিরাজগঞ্জ-২ আসনে লড়ছেন আওয়ামী লীগের হাবীবে মিল্লাত। এখানে বিএনপির প্রার্থী রুমানা মাহমুদ। এই আসনে সিরাজগঞ্জ শহরের জ্ঞানদায়িনী হাইস্কুলে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে গিয়ে কেন্দ্রটির মূল ফটক তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখানে নৌকা প্রতীকের ব্যাজ পরে কর্মীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

নৌকা প্রতীকের এক সমর্থক বলেন, ভেতরে লাঞ্চ করছেন ভোট কর্মকর্তারা। আরেক কর্মী বলেন, এখানে জঙ্গি ঢুকেছিল।

জঙ্গি ঢুকলে পুলিশকে কি খবর দেওয়া হয়েছিল? এর জবাবে ওই কর্মী বলেন, না, তার আগেই চলে গিয়েছে।