ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি প্রার্থীর বাড়িতে দুর্বৃত্তের আগুন

খালেদ হোসেন
খালেদ হোসেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদরও বিজয়নগর) আসনের বিএনপির প্রার্থীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বিএনপির প্রার্থী খালেদ হোসেন মাহবুবের পুনিয়াউটের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া এই আসনের একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাংসদ মহাজোট প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী রাজঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান। এ সময় কেন্দ্রে উপস্থিত বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা করে ও গুলি ছোড়ে। এ সময় ওই যুবক নিহত হন। এ ঘটনার পরপর বিএনপির প্রার্থী খালেদ হোসেন মাহবুবের পুনিয়াউটের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা হায়াত-উদ-দৌলা-খান প্রথম আলোকে বলেন, যুবক আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন।

রাজঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সত্য রঞ্জন রায় জানান, পৌনে ১১টার দিকে মহাজোট প্রার্থী এ আসনে আসার পরপর দুর্বৃত্তরা তাঁর গাড়িতে হামলা চালায়। এ আসনে ছয়টি কক্ষের মধ্যে দুটি থেকে দুটি ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ১৩টি বই শেষ হয়েছিল। তবে পৌনে ১১টা থেকেই ভোট গ্রহণ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১১টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঈনউদ্দিন মঈন যান। তিনি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করেন।

এ সময় কেন্দ্রের বাইরে থাকা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী (ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী জিয়াউল হক মৃধার (সিংহ) লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পুলিশ ১৫ থেকে ২০টি রাবার বুলেট ছোড়ে। কিছুক্ষণ পর স্ট্রাইকিং ফোর্সের নেতৃত্বে থাকা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম হাসিবা খানম ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈনউদ্দিন মঈন, তাঁর স্ত্রী কামরুন্নাহার লাবনীসহ ১০ জন আহত হন।

মঈনউদ্দিন মঈন অভিযোগ করেন, এ আসনের ২৫টি কেন্দ্রে সিংহ মার্কার লোকজন ব্যালটে সিল মেরেছে।

তবে জিয়াউল হক মৃধা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আশুগঞ্জে সব কেন্দ্র দখল করে রাখা হয়েছে।

ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, রাত দুইটার দিয়ে সিংহ মার্কা প্রতীকের লোকজন এসে গলায় ছুরি ধরে ২০টি ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ২০টি ব্যালট বইয়ে দুই হাজার ভোট ছিল।

স্ট্রাইকিং ফোর্সের নেতৃত্বে থাকা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম হাবিবা খানম জানান, ২০টি ব্যালট পেপারে থাকা দুই হাজার ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।