শান্তিপূর্ণ ভোট ঢাকা-১২ আসনে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান । ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান । ফাইল ছবি

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, শেরেবাংলা নগর ও রমনার একাংশ নিয়ে ঢাকা ১২ আসন। গতকাল রোববার এখানকার ১৪০টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে। তবে মগবাজার, নয়াটোলা ও তেজগাঁওয়ের কিছু ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাররা স্লিপ না পেয়ে ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন।

এই আসনে প্রায় ২৫টি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ কেন্দ্রেই নৌকা ও লাঙ্গল প্রতীকের পোলিং এজেন্ট ছিলেন। কয়েকটি কেন্দ্রে আম, হাতপাখা ও কোদাল প্রতীকের পোলিং এজেন্ট থাকলেও ধানের শীষের কোনো পোলিং এজেন্ট পাওয়া যায়নি। এসব কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ধানের শীষের কোনো পোলিং এজেন্ট নেই।

এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও বিএনপির প্রার্থী জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম। অন্য প্রার্থীরা ছিলেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকি (কোদাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোহাম্মদ শওকত আলী হাওলাদার (হাতপাখা), জাতীয় পার্টির নাসির উদ্দিন সরকার (লাঙ্গল) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি—এনপিপির শামীম খান (আম)। 

মধুবাগ শেরেবাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দিতে এসে অনেক ভোটার তাঁদের ভোটার স্লিপ সংগ্রহ করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিযোগকারীদের বেশির ভাগই প্রবীণ। তাঁরা বলেছেন, বাড়ি বদলসহ নানা কারণে তাঁরা ভোটার স্লিপ পাননি। এ সময় ভোটকেন্দ্রের বাইরেও প্রার্থীদের বুথ বা শিবির ছিল ফাঁকা। পরে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়েও তাঁদের সমস্যার সমাধান হয়নি। এই বিপত্তির কথা জানিয়েছেন ইস্পাহানী বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়, শাহনূরী মডেল হাইস্কুল, বিটিসিএল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নজরুল শিক্ষালয়সহ বেশ কিছু ভোটকেন্দ্রের ভোটাররা।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের দেখা হয় বিটিসিএল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এ সময় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছেন। তবে লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রামসহ দেশের কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে সারা দেশে ভোট হচ্ছে শান্তিপূর্ণ।
এদিকে সকাল ১০টার দিকে কোদাল প্রতীকের প্রার্থী জোনায়েদ সাকী ইস্পাহানী বালিকা বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর ওই অভিযোগের পর সেখানকার একটি কেন্দ্রে কোদাল প্রতীকের একজন এজেন্টকে পাওয়া যায়।