আ.লীগের তিন ও জাপার একজন পুনর্নির্বাচিত

গাইবান্ধার মোট পাঁচটি সংসদীয় আসন। এর মধ্যে গত রোববার চারটিতে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ফজলে রাব্বী চৌধুরীর মৃত্যুতে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। নির্বাচনে চারটি আসনে পুরোনোরাই নির্বাচিত হয়েছেন।

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন বেসরকারিভাবে চারজনকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা শামীম হায়দার পাটোয়ারী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি গত বছরের ১৩ মার্চ দ্বিতীয় দফা উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। তিনি এবার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৮৫ ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাজেদুর রহমান ৬৫ হাজার ১৭৩ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া এই আসনে বাসদের গোলাম রব্বানি শাহ ১২৩, মুসলিম লীগের গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ ১৭৫, ইসলামী আন্দোলনের আশরাফুল ইসলাম খন্দকার ১ হাজার ৪০০, গণতন্ত্রী পার্টির আবুল বাসার মো. শরীতুল্লাহ ৪৬৪, গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম ২০১, খেলাফত আন্দোলনের হাফিজুর রহমান সর্দার ১৬৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সাংসদ কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খান ১ হাজার ৫২৯ ভোট, এমদাদুল হক ১৯৬ ভোট ও আফরুজা বারী ৩৯৪ ভোট পেয়েছেন।

গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে মহাজোটের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেত্রী মাহাবুব আরা বেগম গিনি হ্যাটট্রিক করেন। তিনি নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি এবার ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬১৭ ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সাবেক সাংসদ মো. আবদুর রশিদ সরকার ৬৮ হাজার ৬৭০ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জিয়া জামান খান ২১৩, সিপিবির মিহির ঘোষ ৩ হাজার ৪০৭, ইসলামী আন্দোলনের আল-আমিন ২ হাজার ২৮৯ ভোট পেয়েছেন।

গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনেও জিতেছিলেন। তিনি ৩ লাখ ৮৬০ ও  তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির কাজী মশিউর রহমান ৫ হাজার ৭১৭ ভোট পেয়েছেন।

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া  বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে তিনি নবম ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন। তিনি ২ লাখ ৪২ হাজার ৮৬১ ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ফারুক আলম সরকার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ১৯ হাজার ৯৯৬ ভোট পেয়েছেন। এই আসনে জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ ৯ হাজার ২৩১ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল ৭২০ ভোট এবং সিপিবির যজেস্বর বর্মন ৩০৪ ভোট পেয়েছেন।