খিলগাঁওয়ের রেদুয়ান খুনের তিন আসামি রিমান্ডে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় রেদুয়ান আহমেদ রিদু (১৮) হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তিন আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এই আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার তিন আসামি হলেন, মামুন ওরফে কালু (২৫), তপন হাওলাদার (২৪) এবং মামুন (২৬)। রেদুয়ান হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে রোববার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। খিলগাঁও থানা-পুলিশ ঢাকার আদালতকে সোমবার প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, গ্রেপ্তার তিন আসামি এলাকার পেশাগত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী। বিভিন্ন বড় ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা। 


খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া ভূঁইয়াপাড়া এলাকায় গত ১৭ মে সন্ধ্যায় রেদুয়ান আহম্মেদ খুন হন। এ ঘটনায় রেদুয়ানের মা শাহিদা বেগম বাদী হয়ে আট আসামির নাম উল্লেখ করে খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহারে নাম থাকা আট আসামি হলেন, শুভ (৩৫), টিপু (২৫), নবী (২৫), ঝুনা (২৮), কালু (২৫), তপন (১৮), শাকিল (২৩) এবং মামুন (২৫)।

রেদুয়ান আহম্মেদের মা মামলায় বলছেন, সম্প্রতি খিলগাঁও মিনারা মসজিদে তারাবির নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। স্থানীয় শুভ, টিপু, ঝুনা, শাকিল এক ব্যক্তিকে মারধর করতে থাকলে তাঁর ছেলে রেদুয়ান সেখানে যান। ওই ব্যক্তিকে মারধর করার জন্য তাঁর ছেলে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৭ মে রেদুয়ানের দুই পায়ের রগ কেটে ভূঁইয়া পাড়ার ফুল মিয়া বস্তির মোমিনের ঘরে ফেলে রাখে অভিযুক্তরা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রেদুয়ান।

রেদুয়ানের মা শাহিদা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কেবলমাত্র তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। শাহিদা বেগম দাবি করেন, তারাবির নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে তাঁর ছেলে রেদুয়ান খুন হয়েছেন।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর কবীর খান সোমবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রেদুয়ান হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব আসামি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।

রেদুয়ানের মা শাহিদা বেগম জানান, তাঁর স্বামী মজনু মিয়া ছয় বছর আগে খুন হয়েছেন। এখন তাঁর একমাত্র ছেলে রেদুয়ানকেও খুন করা হলো। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তিনি।