এভাবে চললে স্বাধীন থাকতে পারব না: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে কঠিন সময় যাচ্ছে। খুন-ধর্ষণের বিচার হয় না। খুন-ধর্ষণের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রকাশ্যে জড়িত থাকেন কিন্তু তাদের বিচার হয় না।

মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে আমরা স্বাধীন থাকতে পারব না। অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে যাবে দেশ।’

আজ সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে এক কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। পীরগঞ্জ পৌরসভা অডিটোরিয়ামে উপজেলা ও পৌর বিএনপি এই কর্মিসভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সোহাগ মঈনুল হোসেন। সভায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পর একবার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল বাকশাল কায়েম করে। সেদিনও জনগণের তোপের মুখে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। আজও পারবে না। এবার ভিন্ন কৌশলে, ভিন্ন পোশাক পরে ভিন্ন আঙ্গিকে তারা আবার একদলীয় শাসনব্যবস্থা ‘বাকশাল’ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আজকেও বাংলাদেশের জনগণ একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হতে দেবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে জনগণকে একযোগে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ জানেন এবারের নির্বাচন গণতান্ত্রিকভাবে হয়নি। মানুষ দেশের প্রতিটি আসনে ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগের চিহ্ন পর্যন্ত থাকত না। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্বাচনে ব্যবহার করেছে এ সরকার। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দলের লাখ লাখ নেতা–কর্মীকে নিয়ে বিএনপি সারা দেশে আন্দোলনে নামবে। সেদিন গণতন্ত্রের জয় হবে, দেশের মানুষের জয় হবে, পতন ঘটবে স্বৈরাচারের।’

এর আগে বিকেল চারটায় ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ হলরুমে উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত পৃথক কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন রানীশংকৈল উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আইনুল হক। বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সম্পাদক আতাউর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি সাহজাহান আলী, যুবদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান,স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক পলাশ চৌধুরী, ছাত্রদলের নেতা বকুল মজুমদার ও আওলাদ হোসেন প্রমুখ।