পিটিয়ে মারার সারিটা বড়ই হচ্ছে

বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন তিনি। ছবি: প্রথম আলো
বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন তিনি। ছবি: প্রথম আলো

আবরার ফাহাদের মা–বাবা, স্বজনেরা ছাড়াও যাঁরা আবরারকে চেনেন না, তাঁরাও বলছেন, আহা, ছেলেটাকে পিটিয়েই মেরে ফেলল! একটি করে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে, আর একই ধরনের আলোচনা চলে কয়েক দিন। তারপর মৃতের স্বজন ছাড়া অন্যরা আস্তে আস্তে ভুলতে থাকে সে ঘটনা।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র আবরার। ৬ অক্টোবর গভীর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের এক তলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত্যুর পর উত্তাল আন্দোলনে নেমেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। তবে রাতে আবরারকে হলের ভেতরে যখন পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়, তখন কোনো শিক্ষার্থী তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি। আবরারকে নিয়ে গণমাধ্যমসহ সব জায়গাতেই সরগরম আলোচনা চলছে।

দুই সন্তানের মা তাসলিমা বেগমের (রেণু) কথা মনে আছে? চলতি বছরেরই ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তাসলিমাকে ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি ওই স্কুলে তাঁর দুই সন্তানের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন। তাসলিমাকে পিটিয়ে মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তখনো আলোচনায় গুরুত্ব পায়—মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা কেমনে সম্ভব? তাসলিমাকে মারার দৃশ্য ভিড় করে মানুষ দেখছিলেন এবং অনেকে ভিডিও করছিলেন সেই দৃশ্য। কেউ তাঁকে বাঁচাতে আসেননি।

তাসলিমা বেগম। উত্তর-পূর্ব বাড্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাঁকে। ছবি: সংগৃহীত
তাসলিমা বেগম। উত্তর-পূর্ব বাড্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাঁকে। ছবি: সংগৃহীত

আদালত দ্রুত রায় দিলেও পিটিয়ে মানুষ মারা থামেনি। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাব বলছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি থেকে জুন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত) সারা দেশে ৩৬ জন গণপিটুনিতে মারা গেছেন।

ঘটনা ঘটছেই: প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে গণপিটুনিতে হত্যার বিভিন্ন খবর বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গুজবসহ তুচ্ছ কারণে মানুষ মানুষকে মেরে ফেলছে। গুজবে হুজুগে অপরিচিতরা মারলেও কিছু ঘটনায় মারছে আপনজন, সহপাঠী বা পরিচিতরাই। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়েও অনেকে প্রাণ হারাচ্ছেন।

চলতি বছরের আগস্টে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মা খুশি বেগমকে (৪৫) পিটিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। গত বছর রাজধানীর পুরান ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় বিয়েবাড়িতে উচ্চ স্বরে গান-বাজনার প্রতিবাদ করায় নাজমুল হক (৬৫) নামের এক অসুস্থ ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

চলতি বছরের জুলাই মাসে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে রাজধানীর ওয়ারীতে এক বাবাকে হত্যা করেছেন তাঁরই ছেলে–মেয়ে। ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা বাবা মো. মোহিবুল্লাকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় নিজ বাড়িতে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। 

চলতি বছরের আগস্ট মাসেই গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্র রাহাত মিয়াকে (১৪) পিটিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। রাহাত মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী খয়বর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলামের একটি খেলনা পিস্তল নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়।

২০১০ সালে নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামে শিরিন বেগম (২১) নামের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেন। ২০১১ সালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নে আলেফা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
২০১২ সালে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের আবদুল মান্নান শেখ (৫২) নামের এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ২০১৩ সালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সিনাবহ এলাকায় পুলিশের সামনেই পেটানো হয় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মর্জিনা আক্তারকে (৩৫)। গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এলাকাবাসীর মুঠোফোন থেকে পাওয়া ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, উত্তেজিত জনতা ছেলেধরা সন্দেহে ওই নারীকে নিষ্ঠুরভাবে পেটাচ্ছে। এমনকি গলায় বাঁশ চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে তাঁর। মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ প্রথমে এই নারীকে উদ্ধার করলেও উত্তেজিত জনতা তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে।

তৎপরতা: গণপিটুনিতে হত্যার সব ঘটনা গণমাধ্যম বা দেশব্যাপী আলোড়ন তুলতে পারে না। কৃষক, জেলে, গৃহবধূকে পিটিয়ে মেরে ফেলার পরও গণমাধ্যমে ভেতরের পাতায় সংক্ষিপ্ত সংবাদ হিসেবে প্রকাশিত হয়। আবার অনেক ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ বা প্রচারও হয় না। তবে আলোড়ন তোলা ঘটনায় সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিরা সোচ্চার হন। কিছু ঘটনায় আদালত রায়ও দিয়েছেন। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, রায় বাস্তবায়ন করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়ার নজির তৈরি হয়নি।
বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার হত্যার পর ৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভিন্নমত থাকলেই কাউকে পিটিয়ে মারা যায় না। যারাই অপরাধী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভিন্নমত থাকলেই কাউকে পিটিয়ে মারা যায় না। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

ছেলেধরা সন্দেহে রাজধানীতে তাসলিমা হত্যা বা পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে ‘মানুষের মাথা লাগবে’ বলে গুজবে বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল সরকার। চলতি বছরের জুলাই মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে গণপিটুনির মতো অপরাধে যাঁরাই যুক্ত হবেন, তাঁদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
চলতি বছরের ২০ জুলাই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ছেলেধরা গুজবের বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে’ বলে গুজব ছড়ানোকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মর্মান্তিকভাবে কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। গুজব ছড়িয়ে ও গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনা ফৌজদারি অপরাধ। দ্রুতই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া কারও বিষয়ে কোনো সন্দেহ হলে তাকে প্রয়োজনে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে সোপর্দ করতে অথবা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে ফোন করে জানাতে অথবা জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তবে গণপিটুনির ঘটনায় হয় মানুষ দর্শক হিসেবে তা দেখছে, নয়তো কেউ এগিয়েই আসছে না, ৯৯৯-এ ফোন করে জানানোরও প্রয়োজন মনে করছে না।

২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ছবি: প্রথম আলো
২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ছবি: প্রথম আলো

পিটিয়ে হত্যার আলোচিত ঘটনায় আদালত রায়ও দিয়েছেন। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা নির্মমভাবে পেটান ও কোপান। এতে মারা যান বিশ্বজিৎ। ঘটনার সময় বিশ্বজিৎ লক্ষ্মীবাজারের বাসা থেকে শাঁখারীবাজারে নিজের দরজির দোকানে যাচ্ছিলেন। ঘটনার পরদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন। ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এই মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামির মধ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, চারজনের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন এবং অপর দুজনকে খালাস দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে যে দুজন আপিল করেন, তাঁরা খালাস পান।
সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ২০১৫ সালের ৮ জুলাই শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরাই সেই নির্যাতনের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়, যা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তদন্ত শেষ করে ওই বছরের ১৬ আগস্ট ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১৭ কার্যদিবসে বিচারিক কার্যক্রম শেষে ওই বছরের ৮ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় দেন।

বিভিন্ন তৎপরতার পরও থামছে না পিটিয়ে মানুষ মারা। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক তাজুল ইসলামের মতে, আগে সাপ বা কুকুরকে কিছু মানুষ পিটিয়ে মারত। আর এখন নিষ্ঠুরতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মানুষ মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। আগে কোনো অন্যায় দেখলে মানুষ প্রতিবাদ করলেও এখন বেশির ভাগ মানুষ চুপ করে থাকে। এগিয়ে আসে না। আগে অপরাধ করলে এমনকি কাউকে চড়-থাপ্পড় দিলেও অনুশোচনা হতো, এখন মানুষ মেরে ফেললেও মানুষের অনুশোচনা হয় না। অর্থাৎ একধরনের অভ্যস্ততা চলে আসছে। অপরাধীরা অপরাধ করতে ভয় পাচ্ছে না।

সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে তাসলিমা বেগমের মৃত্যুর পর তাঁর ভাগনে সৈয়দ নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়। সৈয়দ নাসির উদ্দিন তাঁর খালা কতটা কষ্ট নিয়ে মরেছেন, তা বলতে গিয়ে বলেন, ‘খালার একটি আঙুল নড়ছে, মানুষ সেই আঙুলে পেটাচ্ছে, আবার পা নড়ছে, সেখানে মারছে। সাপ বা অন্য কোনো প্রাণীকেও কেউ এভাবে মারতে পারে না। মানুষ যখন বুঝতে পেরেছে খালার কোনো অঙ্গ আর কাজ করছে না, তখন তারা মারা থামিয়েছে।’

সৈয়দ নাসির উদ্দিন বললেন, ‘আবরারকে পিটিয়ে মেরেছে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থীরা। তার মানে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের মেধাবী বানাতে পারলেও মানুষ বানাতে পারছে না। শিক্ষাব্যবস্থাকে মানুষ বানানোর দিকে নজর দিতে হবে। আইনের বাস্তবায়নও দ্রুত হতে হবে।’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমও আইনের বাস্তবায়নের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিলেন। তিনি বললেন, পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা অমানবিক। এটা কাঙ্ক্ষিত না, কেউ সমর্থনও করে না। আর এ ধরনের অপরাধ যে-ই করুক, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে আর কেউ সাহস না পায়।