ছাতু-নকশিকাঁথা-শাড়ি কী নেই উন্নয়ন মেলায়

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং পিকেএসএফের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সাত দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা শেষ হয়েছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৪ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এই মেলা চলে।

মেলার সাত দিনে পাঁচটি সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে।

গ্রাম এলাকা থেকে পিকেএসএফের সহযোগী প্রতিষ্ঠানসহ, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, গবেষণা ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং সেবামুখী সংগঠনসহ ১৩০টি সংস্থার মোট ১৯০টির বেশি স্টল মেলায় স্থান পেয়েছে।

মেলায় ছিল ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কৃষি, খাদ্য ও প্রচলিত পণ্য। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এই মেলা চলে।

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সহকারী প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. আইনুল হক জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানের বাজারজাতকৃত নতুন পণ্য মোজারেলা চিজ এবার উন্নয়ন মেলা ২০১৯-এ সবগুলো স্টলের মধ্যে ‘শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী পণ্য’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এই স্টলে পাটের তৈরি মাদুর, নকশিকাঁথা, বিভিন্ন শতরঞ্জি, পাপোশ এবং প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত করা খাবার যেমন কাঁঠালের বিচি, শিমের বিচি, ভুট্টার খই প্রভৃতি প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হয়।

রুরাল রিকস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশনের (আরআরএফ) কর্মী মিস শিফা বেগম জানান, তাঁদের স্টলে নকশিকাঁথা, থ্রিপিস, টুপিস, ব্যাগ এবং জামতলার সাদেক গোল্লা নামের মিষ্টি বিক্রি ও প্রদর্শন করা হয়। বিক্রির পরিমাণ মোটামুটি বলে জানালেন তিনি।

সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) কর্মী লাভলী হালদার জানান, তাঁদের স্টলে সুন্দরবনের খাঁটি মধু, সিরাজগঞ্জের ঘি, তাঁতের শাড়ি, মুগডাল, শীতল পাটি, ব্যাগ, শার্ট, লুঙ্গি, থ্রি-পিস, গামছা প্রভৃতি পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড় বিক্রির পরিমাণ ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বলে তিনি জানান।

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের (জিবিকে) স্টলে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন কৃষিপণ্য। এর মধ্যে নানা চাল ও ছাতু এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি বিভিন্ন কারুপণ্য বিক্রি ও প্রদর্শন করা হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানটি দুস্থ সম্প্রদায় বিশেষ করে নারী, শিশু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের জন্যে কাজ করছে। উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর অঞ্চলে এই প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে।

আসপাজা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন স্টলের প্রতিনিধি জানান, স্টলে থ্রি-পিস, টুপিস, নকশিকাঁথা, বেডশিট, কুশন, ব্যাগ, টিস্যু বক্স, বিভিন্ন শো পিস, ঝুড়ি, কড়াই, পাটের ব্যাগ প্রভৃতি প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়।

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

উন্নয়ন মেলার মোট ১২৪টি স্টলে বাহারি বিভিন্ন পণ্য ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপণ্য, খাদ্যদ্রব্য প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হয়।

(নাজিয়া হোসেন: প্রথম আলোর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সাংবাদিক)