৯৭ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে ভঙ্গ হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন

চট্টগ্রাম নগরের ৯৭ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ হচ্ছে। আর প্রায় শতভাগ প্রকাশ্য স্থানে ও পরিবহনে ভঙ্গ হচ্ছে আইনটি। ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহায়তায় ইপসা পরিচালিত এক জরিপে এই চিত্র উঠে এসেছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নগরের ৯৯ শতাংশ সরকারি কার্যালয় ও রেস্তোরাঁ, শতভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন, পাশাপাশি ধূমপানের নিদর্শন পাওয়া গেছে ৫৪ শতাংশ সরকারি কার্যালয়, ৪১ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৩৪ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র, ৫০ শতাংশ রেস্তোরাঁ ও ৮৫ শতাংশ গণপরিবহনে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী সব মুক্তস্থান ও গণপরিবহনে ধূমপান থেকে বিরত থাকার সতর্কতামূলক নোটিশ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক হলেও এই নিয়ম মানছে না কেউই। ৯৮ শতাংশ সরকারি কার্যালয়, শতভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৯৪ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র, ৯৮ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শতভাগ গণপরিবহনে সতর্কতামূলক নোটিশ প্রদর্শন করা হচ্ছে না। এ ছাড়া তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন দেখা গেছে ৪ শতাংশ করে সরকারি কার্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২৮ শতাংশ রেস্তোরাঁ ও ৯ শতাংশ গণপরিবহনে।

চলতি বছরের জুন মাসে তামাকমুক্ত চট্টগ্রাম শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইপসা এই জরিপ পরিচালনা করে। তথ্য সংগ্রহ করতে প্রতিষ্ঠানটি ২৮২টি সরকারি কার্যালয়, ১২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ১৮৭টি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র, ৪২৩টি রেস্তোরাঁ ও ৪১৯টি গণপরিবহনে জরিপ চালায়।

ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার মো. ওমর শাহেদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন উপপরিচালক নাছিম বানু। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দৈনিক প্রথম আলোর বার্তা সম্পাদক ওমর কায়সার, সিটিএফকের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক আলমগীর সবুজ, সদস্য লতিফা আনসারি প্রমুখ।