সাভারে শিশুর বস্তাবন্দী লাশ, দম্পতি আটক

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঢাকার সাভারে নাজিফা আক্তার (৭) নামের এক শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত আটটার দিকে জয়নাবাড়ি এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনের ফ্ল্যাট থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ মোখছেদুল ইসলাম ও সোনালি বেগম নামে এক দম্পতিকে আটক করেছে। এই দম্পতি পেশায় পোশাক শ্রমিক।

সাভার থানা-পুলিশ জানায়, নিহত শিশু ও আটক দম্পতি ওই ভবনের পঞ্চম তলায় পাশাপাশি ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া। শিশু নাজিফার বাবা হাবিবুল্লাহ অসুস্থ। হাবিবুল্লাহ তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর শিশুটির মা ফাতেমা বেগম সাভারে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক হওয়া সোনালি বেগম শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

সাভার থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে নাজিফাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার মা শুক্রবার সকালে সাভার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর পুলিশ নাজিফাকে উদ্ধারে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে শুক্রবার রাত আটটার দিকে পাশের ফ্ল্যাটের খাটের পেছন থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় তার লাশ পায় পুলিশ। তখন তারা ওই দম্পতিকে আটক করে।

সাভার চামড়া শিল্প নগরী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক বলেন, নাজিফাকে হত্যার পর তার লাশ প্রথমে ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। এরপর ফ্রিজ থেকে বের করে লাশ বস্তায় ভরে ঘরের খাটের পেছনে রাখা হয়।

সোনালি বেগমের বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, কিছুদিন আগে সোনালি বেগম নাজিফার মা ফাতেমা বেগমের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা ধার নেন। এ টাকা তিনি পরিশোধ করতে পারছিলেন না। শুক্রবার দুপুরের পর শিশুটি তাঁর ঘরে যায়। এ সময় তিনি নাজিফার কানের দুল খুলতে চান। এতে সে চিৎকার দেয়। একপর্যায়ে তিনি তার মুখ কাপড় দিয়ে চেপে ধরে কানের দুল খোলেন ও ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর লাশ ফ্রিজে রাখেন। এরপর ওই কানের দুল বাইরে নিয়ে ১৮ শ টাকায় বিক্রি করেন। তার সঙ্গে আরও দু শ টাকা যোগ করে ধারের তিন হাজার টাকা থেকে দুই হাজার টাকা নাজিফার মা ফাতেমা বেগমকে পরিশোধ করেন।

নাজিফার মায়ের অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সোনালির স্বামীও জড়িত। তিনি দুজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করবেন বলে জানান।