বেগুনখেত থেকে প্রবাসীর লাশ উদ্ধার

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

দুদিন পরই তাঁর সৌদি আরব ফিরে যাওয়ার কথা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমাতেও গিয়েছিলেন। তারপর হঠাৎ ‘কারও সঙ্গে কথা বলবেন’ বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এরপর আর ফেরেননি। আজ বুধবার সকালে বাড়ির অদূরে একটি বেগুনখেতে তাঁর লাশে মেলে। 

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ডাবিরঘর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রবাসী রতন মিয়ার (৩২) শরীরে তিনটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ বলছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাশ্ববর্তী শ্যামনগর গ্রামের কামাল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

রতন মিয়ার স্ত্রী পাপিয়া আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্বামী সৌদি আরবে চাকরি করতেন। তিন মাস আগে ছুটিতে বেড়াতে এসেছিলেন। গতকাল রাতের খাবার শেষে প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার দিকে তাঁর স্বামী কারও সঙ্গে কথা বলবেন বলে বের হয়ে যান। সকালে বাড়ির পাশেই লাশটি পড়ে থাকতে দেখেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রতন মিয়ার বাড়ির অদুরে একটি বেগুনখেতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে তাঁর বাড়িতে খবর পাঠান স্থানীয় লোকজন। রতনের মৃতদেহ কর্দমাক্ত ছিল। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লাশ দেখতে মানুষের ঢল নামে। তাঁর স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

কসবা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল করিম, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন, কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুল ইসলাম প্রমুখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।


ওসি মো. লোকমান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।