গরুর ওপর এ কেমন বর্বরতা

রেল লাইনের পাশে পড়ে ছিল গাভি ও বাছুর। ছবি: প্রথম আলো
রেল লাইনের পাশে পড়ে ছিল গাভি ও বাছুর। ছবি: প্রথম আলো

গাভির গলায় বাঁধা দড়ির সঙ্গে তখনো বাঁধা বাছুরটি। এক সঙ্গেই ছিল দুটি। কিন্তু বর্বরোচিতভাবে এগুলোকে হত্যা করা হয়। সিন্ধি প্রজাতির গাভিটির দুধের বাঁট ও মলদ্বার কেটে হত্যা করা হয়। আর বাছুরটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। একই সঙ্গে হত্যা করা হয় আরেকটি বাছুরকেও। সব কটিই ছিল সিন্ধি প্রজাতির।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় ঘটে এ ঘটনা। কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। পাওয়া যায়নি গরুর মালিককেও।

আজ বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কের কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল ওভারব্রিজের নিচে রেল লাইনের পাশে গরুগুলোর মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। এর মধ্যে একটি বাছুরকে হত্যার করার পর চার পা বেঁধে বস্তায় ভরে মালেক মোড়ের পাশে এবং বাকি দুটো রেল লাইনের ধারে ফেলে রাখা হয়।

স্থানীয় ঝাঐল গ্রামের আবু হাসেম বলেন, গ্রামবাসীর ধারণা পারিবারিক শত্রুতার জের ধরেই এই গরুগুলোকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

কামারখন্দ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল হাই প্রথম আলোকে জানান, গরু তিনটির মধ্যে একটি গাভি এবং একটি বকনা ও একটি এঁড়ে বাছুর। গাভিটির ওলানের দুধের বাঁট ও যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়া হয়েছে। গাভিটির দুটি পা শক্ত করে রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। গরু তিনটির মালিককে পাওয়া না যাওয়ায় সন্ধ্যায় রেল লাইনের পাশের একটি গর্তে এগুলোকে পুঁতে ফেলা হয়। গরু তিনটির বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা বলে জানান এই কর্মকর্তা।