যাত্রাবাড়ীতে কিশোর ইমন হত্যায় তিন কিশোরের স্বীকারোক্তি

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ইমন নামের এক কিশোর (১৬) হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তিন আসামি ১৬৪ ধারায় ঢাকার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ওই তিনজনই নবম শ্রেণির ছাত্র। তারা মা–বাবার সঙ্গে যাত্রাবাড়ী এলাকায় বসবাস করে।

আজ বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত ওই তিন কিশোরের জবানবন্দি রেকর্ড করে তাদের টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে যাত্রাবাড়ীর গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পাগলা মেডিকেল সড়কে কিশোর ইমনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ইমনের বাবা আবু বকর সিদ্দিক যাত্রাবাড়ীর পাঁচ কিশোরের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।

মামলার কাগজপত্র, নিহতের পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিশোর ইমন তার বাবার সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর একটি দোকানে দরজির কাজ করত। গত রোববার রাত আটটার দিকে ইমনের পায়ের ওপর এক (আসামিদের বন্ধু) ছেলে সাইকেলের চাকা তুলে দেয়। ক্ষিপ্ত হয়ে তখন ইমন ওই ছেলেকে থাপ্পড় মারে। পরে ওই ছেলে তার বন্ধুদের এই কথা জানায়। গতকাল দুপুরে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ইমনকে সাত থেকে আট কিশোর ঘিরে ধরে। এরপর তারা তাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। একপর্যায়ে এক কিশোর চাকু দিয়ে ইমনের বুকে আঘাত করে। তখনই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ইমন। পরে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তুচ্ছ কারণে একদল কিশোর আরেক কিশোর ইমনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। তিন কিশোরকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। বাকি দুজনকে ধরার চেষ্টা চলছে। শরিফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত কিশোরেরা সবাই স্কুলছাত্র। তুচ্ছ কারণে ইমনকে তারা হত্যা করেছে।

নিহত ইমনের ফুফু ফারজানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাতিজা ইমনকে বিনা দোষে ওরা হত্যা করেছে। আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’