১৫০ যাত্রীবাহী লঞ্চে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ

অঘোষিত লকডাউনের কারনে সদরঘাট এলাকায় নোঙর করে রাখা হয়েছে দেড় শতাধিক ছোট বড় যাত্রীবাহী লঞ্চ। যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকায় এসব লঞ্চে অবস্থানরতদের অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি কয়েকটিতে দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট।

এবার এসব লঞ্চে অবস্থানরত মাষ্টার, ড্রাইভার, সুকানীসহ লঞ্চস্টাফদের মাঝে অতিপ্রয়োজনীয় খাদ্য সমাগ্রী বিতরণ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বৃহস্পতিবার বিকেলে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ম পরিচালক ও ঢাকা নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা একেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, নিয়মিত ত্রাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নোঙর করে রাখা লঞ্চ গুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অবস্থানরত মোট ১৫০ টি যাত্রীবাহী লঞ্চের প্রতিটিতে ২৫ কেজি চাল, ৫ কেজি ডাল, ৫ কেজি পেঁয়াজ, ৫ লিটার সয়াবিন তেল দেওয়া হয়েছে। এছাড়া লঞ্চগুলোতে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও ব্যবহার্য পানি সরবরাহেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা নদী বন্দর এলাকায় নৌশ্রমিক, কুলি, দিনমজুর, মাঝিসহ নানা শ্রেনির কর্মহীন প্রায় ৬ হাজার লোকের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমন রোধে সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ২৪ মার্চ থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেই থেকে যাত্রী চলাচলের দিক থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অভ্যন্তরীণ নদী বন্দর অর্থাৎ ঢাকা নদী বন্দর দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ২২ জেলায় ৪৩ নৌপথে প্রতিদিন ছোট বড় ৮০ টি লঞ্চে গড়ে লক্ষাধিক নৌযাত্রীর চলাচল বন্ধ রয়েছে।

প্রচন্ড ব্যস্ততম সরব সদরঘাট এখন এক শান্ত নিরব প্রান্তর। কর্মহীন হয়ে অসহায়ত্বের মধ্যে পড়েছে নদী, নৌযান আর বন্দর নির্ভর বিপুল সংখ্যক কর্মজীবী, দিনমজুর।

বিষয়টি বিবেচনায় এনে পরিস্থিতির শুরু থেকেই নৌশ্রমিক, কুলি, দিনমজুর, মাঝি, জেলে, ভবঘুরে, ছিন্নমূল, প্রতিবন্ধিসহ সদরঘাট ও ঢাকা নদী বন্দর কেন্দ্রিক নানা শ্রেণীর বর্তমানে অসহায় মানুষের মাঝে বিআইডব্লিউটিএ'র পক্ষ থেকে কয়েকদিন অন্তর অন্তর শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।

বিভিন্ন সময় ত্রাণ সহায়তা বিতরণের সময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।