সরকার মৃত্যুর মিছিল বাড়ানোর পথে হাঁটছে: রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের সব কিছু চালু করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার মৃত্যুর মিছিল বাড়ানোর পথে হাঁটছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে ভিডিও কনফারেন্সে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা আদেশে বলা হয়েছে শর্তসাপেক্ষে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত আকারে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিসগুলো নিজ ব্যবস্থায় খোলা থাকবে। এই সময়ে শর্ত মেনে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্টসংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল করতে পারবে। নিজ ব্যবস্থাপনায় বিমান চলাচলের বিষয়ে বিমান কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আপাতত বন্ধই থাকছে।

সরকারের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনায় রিজভী বলেছেন, 'প্রত্যেক বোধসম্পন্ন মানুষ আশা করেছিল যেভাবে প্রতিদিন ভয়াবহ বিপর্যয়ে ধাবিত হচ্ছে করোনা মহামারি তাতে সরকার হয়তো কঠোর পদক্ষেপ নিবে। এখনই উপযুক্ত সময়ই ছিল কিছুদিনের জন্য হার্ড-লকডাউন কার্যকর করে ব্যাপক জনগণকে টেস্টের আওতায় এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। কিন্তু সরকার সেই পথে না গিয়ে হাঁটছে মৃত্যুর মিছিল বাড়ানোর পথে।'

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, 'করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশে লকডাউন, কারফিউ-জরুরি অবস্থাসহ নানা কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আর বিশ্বে একমাত্র বাংলাদেশেই 'ছুটি' দিয়ে কথিত লকডাউন বলে প্রচার করে আসছে।'

দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা যখন বাড়ছে তখন ছুটি বাতিল করার বিষয়ে রিজভী বলেন, 'ছুটি নামের তথাকথিত লকডাউন তুলে নেওয়ার পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার কি প্রমাণ করতে চায় 'করোনার থেকে তারা শক্তিশালী?' এটা সরকারের বড় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি। এ ছাড়া বলেন, এই ছুটি প্রত্যাহারের জন্য করোনা ভাইরাসে প্রাণহানির সকল দায় সরকারকেই নিতে হবে।