অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গাদাগাদি করে ফিরছে মানুষ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটি শেষ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। কিন্তু গণপরিবহন চলাচল বন্ধ। তাই কর্মজীবী মানুষেরা অধিক ভাড়া দিয়েও হলে দুর্ভোগ পোহিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলে ঢাকায় ফিরছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু দিয়ে ২২ হাজার যানবাহন পারাপার হয়েছে বলে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা সূত্রে জানা গেছে।

আজ বেলা ১টার দিকে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব মহাসড়কের সেতু গোলচত্বর ও এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড গিয়ে দেখে গেছে, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ থেকে লোকজন কর্মস্থলে পৌঁছাতে মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রো ও পিকআপে করে যাচ্ছেন। সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে গাজীপুর ও আশুলিয়া পর্যন্ত ১ হাজার টাকায় যাত্রী বহন করা হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী আরিফুর রহমান জানান, সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড় থেকে মোটরসাইকেলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এসেছেন ২০০ টাকা ভাড়ায়। এখন সেখান থেকে ১ হাজার টাকা ভাড়ায় আরেক মোটরসাইকেলে আশুলিয়া পর্যন্ত যেতে হচ্ছে।

এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে মাইক্রোবাসে ঢাকার আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত জনপ্রতি ১০০০ টাকায় যাত্রী নিতে দেখা যায়। স্বল্প আয়ের মানুষ গাদাগাদি করে পিকআপ ভ্যান ও কাভার্ড ভ্যানে করে যাচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্তের সংযোগ সড়কের ভূঞাপুর লিংকরোডে হাইওয়ে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। পিকআপ ভ্যানে গাদাগাদি করে যাওয়া মানুষদের নামিয়ে দেওয়া হয় সেখানে। কিন্তু কিছুদূর গিয়েই আবার পিকআপ ভ্যানে উঠতে দেখা যায় যাত্রীদের।

এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় ফরহাদ হোসেন নামে এক পোশাক কারখানার শ্রমিককে। তিনি জানান, মধুপুর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় এ পর্যন্ত এসেছেন। কিন্তু এখানে এসে দেখছেন মাইক্রোবাস অনেক বেশি ভাড়া চাইছে। তার মতো মানুষের এত ভাড়া দিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই মালবাহী ট্রাক বা পিকআপ ভ্যানের জন্য অপেক্ষা করছেন।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, আজ সকাল থেকেই মহাসড়কে ছোট ছোট যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ ছাড়াও টাঙ্গাইলের আশপাশের জেলার মানুষজন এই মহাসড়ক দিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছেন। এতে এ মহাসড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি, পিকআপ ভ্যান, পণ্যবাহী ট্রাক, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোর সংখ্যা গত দুদিনে বেড়েছে।