বাসে বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে তৎপরতা নেই

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

যা আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেটাই ঘটছে। রাজধানী ঢাকা ও দূরপাল্লার বাসে বাড়তি ভাড়া আদায় হচ্ছে। কিন্তু বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরিটএ) তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

করোনার কারণে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গত সোমবার থেকে বাস–মিনিবাস চলছে। পরিবহনমালিকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হলেও বাস্তবে সরকার–নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। গুলিস্তানের মেয়র হানিফ উড়ালসড়ক ধরে মৌমিতা, ঠিকানা, তারাবো, উৎসবসহ ২০টির বেশি কোম্পানির বাস চলাচল করে। আগে উড়ালসড়কের এক প্রান্ত থেকে অন্ত প্রান্তে যেতে ১৫ টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। গত সোমবার থেকে তা ৩০ টাকা হয়ে গেছে।

মহিউদ্দিন আহমেদ নামের এক বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা বলেন, শনিরআখড়া থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত সব বাসেই ভাড়া ৩০ টাকা হয়ে গেছে। অন্য রুটেও বাসে উঠলেই কমপক্ষে ২০ টাকা দিতে হচ্ছে। অথচ ঢাকায় মিনিবাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা। আর বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ৭ টাকা।

বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে কোনো মামলা-জরিমানা করছে না। তাদের প্রায় সব মামলাই মোটরযান আইন অমান্য করার ধারায়। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় মামলা দেওয়া হচ্ছে। কখনো কখনো মাস্ক না পরার দায়ে কাউকে কাউকে তিরস্কার করা হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় সাতটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসব আদালত ১৩টি মামলা করেছেন। জরিমানা আদায় করেছেন ১৯ হাজার ৪০০ টাকা। এর মধ্যে বাড়তি ভাড়া আদায়ের কারণে কোনো মামলা বা জরিমানা হয়নি।

বিআরটিএ সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার কারণে বাসের ফিটনেস নবায়নের সময় বাড়ানো হয়েছে। ফলে মোটরযান আইনের অপরাধ খুব একটা ধরা যাচ্ছে না। এ ছাড়া চালকের লাইসেন্সসংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে জুন পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে।

বিআরটিএর উপপরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) আবদুর রাজ্জাক বলেন, স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে মানুষকে সচেতনতায় বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তাঁদের কাছে অভিযোগ এলে ম্যাজিস্ট্রেটরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

এদিকে বিআরটিএ, পুলিশ, পরিবহনমালিক–শ্রমিক প্রতিনিধির সমন্বয়ে প্রতিটি বাস টার্মিনালে একটি করে কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে এমন কোনো কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।