পাথরঘাটায় মানব পাচারে জড়িত অভিযোগে দুজন আটক

বরগুনার পাথরঘাটায় মানব পাচারে জড়িত অভিযোগে ইদ্রিস আলী ও সজল নামে দুজন আটক হয়েছেন। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব–১২) সদস্যরা গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করেন।

সজল (২৩) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের খাসতবক গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন মাঝির ছেলে। র‌্যাব বলছে, সজল লিবিয়ায় মানব পাচারের মূল হোতা সোহেলের ছোট ভাই। ইদ্রিস আলী (৩৬) একই উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলী ঘরামীর ছেলে। তিনি স্থানীয় বটতলা বাজারে মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা করেন।

র‌্যাব-১২–এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এম এম এইচ ইমরান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। একই সঙ্গে র‌্যাব-১২–এর দায়িত্বশীল আরেক কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

র‌্যাব জানায়, লিবিয়ায় মানব পাচারের একটি চক্রের মূল হোতা সোহেল। সোহেলের হাত ধরে মানব পাচারের সঙ্গে তাঁর ছোট ভাই সজলও জড়িয়ে পড়েন। গ্রামের বাড়ি পাথরঘাটার কাকচিড়া ইউনিয়নের খাসতবক গ্রাম থেকে সজলকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে লিবিয়ার মানব পাচারের টাকা লেনদেন ও এ মানব পাচারের কথা জানতেন স্থানীয় বটতলা বাজারের ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী। তাঁকেও আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভিডিও ও অডিওসহ বিভিন্ন তথ্য–প্রমাণ পেয়েছে র‌্যাব।

কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাদল হাওলাদার বলেন, সজলেরা তিন ভাই। এদের বড় ভাই সোহেল, এলাকার মানুষের কাছে মতলেব নামে পরিচিত। একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইদ্রিস আলী বটতলা বাজারের নগদ ও বিকাশের এজেন্টের ব্যবসা করতেন। আমরা তাঁকে ভালো হিসেবেই জানি। তবে মানব পাচারের ওই টাকা লেনদেনের বিষয়টি আমাদের জানা নেই।’